এস.এম রুবেল

– শিরোনামটা দেখে অনেকের মনে সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। তবে অবিশ্বাস্য হলেও এটিই সত্যি যে, ক’দিন পর মহেশখালী আসতে পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে। কেন জানেন…?

– বিকেলে কক্সবাজার ৬নং ঘাট হয়ে মহেশখালী আসছিলাম। ঘাটে প্রতিদিনের ন্যায় জনপ্রতি ৫ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। আবার অবাক করা বিষয় হল, চেহারা দেখে অনেকের কাছ থেকে নির্ধারিত টোলটি আদায় করা হচ্ছে না। আমার সামনে মধ্যবয়স্ক এক লোক ছবিতে থাকা বস্তাটি নিয়ে ঘাটে আসল। দায়িত্বে থাকা লোকটি বলল,
– এই যে ভাই, আপনার ৫ টাকা আর বস্তার জন্য ৩০ টাকা টোল দিয়ে যান।
– ভাই বস্তায় ক’টা পুরানো কাপড়-চোপড় ছাড়া কিছুই নেই। টাকা না নিলে হয়না।
ঘাটে থাকা লোকটি রাগান্বিত স্বরে বলল,
– এটা সরকারী নির্ধারিত টাকা। টাকা না থাকলে বস্তাটি এখানে রেখে যান।
পাশের জনকে ডেকে বলল,
– বস্তাটি এপাশে নিয়ে আয়।
মধ্যবয়স্ক লোকটি নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে বস্তাটি নিয়ে বোটে উঠে যায়।

– এভাবে প্রতিদিন ঘাটে অামরা জনসাধারণ হয়রাণীর শিকার হচ্ছি। এটা অামাদের সাথে প্রতারণার সামিল। সামান্য একটা ব্যাগ কিংবা বস্তা হাতে নিয়ে অাসলেই ঘাটে অতিরিক্ত টাকা অাদায় করা হচ্ছে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বা সরকারী নীতিমালা দেখতে চাইলে তাদের লাঞ্চনার শিকার হতে হয়। ইতোপূর্বে অনেকে এরূপ পরিস্থির শিকার হয়েছেন।

– পূর্বে ইজারাদারদের হাতে যখন ঘাটের দায়িত্ব ছিল তখনও অতিরিক্ত টাকা অাদায় করা হতো। অার এখন ঘাট সরকার নিয়ন্ত্রিত থাকলেও টাকাটি অাগের মতই নেয়া হচ্ছে। এর মানে ঘাট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে অামরা জনসাধারণ স্বর্নের ডিম পাড়া হাসের মত।
কিন্তু কেন…???
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি…???

– ক’দিন পরে যদি ঘাট কর্তৃপক্ষ ঘোষনা করে, মহেশখালী থেকে কক্সবাজার যাতায়াত করতে পাসপোর্ট, ভিসা লাগবে। তবে অামাদের তা মেনে নিতে হবে। না মেনে কোন উপায় নেই। কারণ অামরা হালচাষ করা বলদের ন্যায় বেঁচে অাছি। সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করতে অামরা অপারগ বা অনিচ্ছুক। যতদিন অামরা প্রতিবাদ করে অধিকার অাদায় করতে মাথা উঁচু করে দাড়াবোনা, ততদিন অামরা অধিকার বঞ্চিত হয়ে লাঞ্ছনার শিকার হবো।