জে.জাহেদ , চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানা এলাকার পপি (ছদ্মনাম)। অনার্স পড়ুয়া পপির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতিবেশী যুবক আতিকের (ছদ্মনাম)। দুজন যখন চুটিয়ে প্রেম করছিলেন তখনই ঘটে ঘটনা। তবে বিপত্তি বাঁধে বিয়ের পর।

মোবাইল ফোনে আলাপ, ফেসবুকে চ্যাটিং এবং ডেটিংয়ে শারীরিক সম্পর্ক! প্রেমের উড়ন্ত সময়ে এবং শারীরিক সম্পর্কের সময় মোবাইল ফোনে তোলা ছবিগুলো এক পর্যায়ে ডেকে আনে চরম বিপত্তি।

দুজনের প্রেমের সময়ের মধ্যেই পপির বিয়ের প্রস্তাব আসে। পপির পরিবার বিয়েতে সম্মতিও দেয়। ওদিকে আতিক তখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকা আলাপ-আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে সর্ম্পকের ইতি টানেন।

বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পপি এক প্রকৌশলীর সঙ্গে। কিন্তু নতুন দাম্পত্য জীবন শুরুর মুহূর্তেই হোঁচট খায় এই দম্পতি। প্রকৌশলীর ইনবক্সে পপির বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি পাঠিয়ে দেন পুর্বেও প্রেমিক আতিক।

শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। ফলশ্রুতিতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে বিয়ে ভেঙে যায়। ডিভোর্স হয় ওই দম্পতির। ফলে পপি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

বিয়ে ভেঙে ঘরে ফেরা মেয়েটি আত্মহত্যার পথে যাচ্ছে দেখে পরিবারের সদস্যরা আরও অসহায় হয়ে পড়েন। গেল আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পপির স্বজনরা।

অভিযোগ পাওয়ার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কথা বলেন পপির সঙ্গে। এর পর গোয়েন্দা কার্যালয়ে ধরে আনা হয় আতিককে। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে পুরো বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি।

পরে গোয়েন্দাদের চাপের মুখে সব কথা স্বীকার করেন। আতিক গোয়েন্দাদের জানান, পপির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটানোর পরও তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রকৌশলী স্বামীর কাছে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি পাঠিয়ে ভুল করেছেন। আবার মিমির সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নতুন করে সম্পর্ক শুরুর চেষ্টা এবং অন্য কোথায় বিয়ে হলে সেখানেও ছবি পাঠানোর হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অন্যায় হয়েছে মর্মেও স্বীকার করেন। এখনো কোন মামলা হয়নি।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলা যাবে না। আবেগের তাড়নায় এমন ছবি ধারণ করা মানেই নিজেকে বিপদে ফেলার আয়োজন করা। তাই সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’