ইসমাঈল হোসাইন রাসেল


আমিও এসেছি এই গণমানুষের মিছিলে বিদ্রোহ করতে,
আমি এসেছি আমার ভাইয়ের অধিকার আদায়ের প্রত্যয়ে।
আমি এসেছি দূর্নীতির ভয়াবহ থাবা থেকে তোমাদের বাঁচাতে।
যন্ত্রণা নিপীড়ন অসহ্য, আর কতো রবো চুপ করে,
তারা শোষক, তারা শোষক, নিয়েছে সব লুটে।
আর কতোকাল গেলে বন্ধ হবে  শ্রমিকের
পারিশ্রমিক না পাওয়া বেদনা ভরা চোখের পানি,
আর কতোকাল গেলে বন্ধ হবে এদেশে খুন রাহাজানি।
যে বাবা তার সন্তানের খন্ড-বিখন্ড লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়,
আমার ধর্মই সে বাবার পাশে দাড়ানো।
রাইফেল বুলেটের আওয়াজে যে শিশুর নিদ্রা ভেঙ্গেছে রাতে,
আমি এসেছি সেই শিশুরে খরস্রোতা বানাতে।
যারা ইতিহাস হারিয়ে হয়েছে নিঃসঙ্গ
আমি এসেছি ইতিহাস জানাতে।
আর কতো করা হবে  শিক্ষকদের অপমান,
কতো  রক্ত ঝরালে  শ্রমিক পাবে পরিশ্রমের দাম।
আমি তন্দ্রার ভিতরে শুনি ধর্ষিতার কাতর চিৎকার,
আর কতো’রাত পোহালে বন্ধ হবে মানুষের হাহাকার।
পিতা হারানো সন্তানের কান্না আমাকে ঘুমোতে দেয় না,
ভাই হারানো ভাইয়ের চিৎকার আমাকে ঘুমোতে দেয় না,
তাদের চিন্তিত কালো মুখ আমাকে ভাবনায় ফেলে,

ঘুমোতে দেয় না, ঘুমোতে দেয় না, ঘুমোতে দেয় না।