মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ

বার্তা পরিবেশক:

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে মামলায় আসামি করার ঘটনাসহ বিভিন্ন দাবীতে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে ওয়াকআউট করেছে মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। চেয়ারম্যানদের দাবী মানা না হলে আগামীতেও আইনশৃঙ্খলা সভা বর্জন করবেন বলে ঘোষণা দেন চেয়ারম্যানগণ।
প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বুধবার মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ফোরাম আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে এক যোগে ওয়াকআউট করেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। চেয়ারম্যানদের ইউনিটির নেতা ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান -সম্প্রতি কারণে অকারণে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কারণে অকারণে মামলা দিয়ে ও গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে একটি খুনের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা ছিল যে -কোন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা বা মামলামূলে গ্রেফতার করতে হলে সুনিদৃষ্ট তদন্ত করে নিশ্চিত হতে হবে। কিন্তু মাতারবাড়ির চেয়ারম্যানের বেলায় তা না করে তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে রেজুলেশনও হয়েছিল। চেয়ারম্যান কামরুল হাসান দাবী জানান রেজুলেশনের এই সিদ্ধান্ত যেন বাস্তবায়ন হয়।
একই ভাবে এর আগে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হকের বিরুদ্ধেও মামলা হয় এ মামলায় তাকে তড়িঘড়ি করে গ্রেফতারও করা হয়। চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান আদালতের কোন প্রকার নির্দেশনা না থাকলেও এ চেয়াম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি জানান কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আগে অভিযোগের বিষয় নিয়ে সুনিদৃষ্ট তদন্ত করার জন্য আগে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রেজুলেশন থাকলেও বর্তমানে কোন প্রকার পূর্ব তদন্ত ছাড়াই চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় ইয়াবার প্রসারের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। অপরদিকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও প্রশাসন গ্রামের সাধারণ বিচার আচারের বিষয়গুলো নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করছে -যার ফলে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত ও পারিবারিক আদালতের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এতে জনপ্রতিনিধিদের মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।
প্রসঙ্গতঃ মাতারবাড়ির জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ প্রথম থেকেই দাবী করে আসছিলেন তিনি এলাকায় ইয়াবা, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। যার ফলে তাকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি দ্রুত এ মিথ্যা মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়ার দাবী জানান। এদিকে একই কথা জনিয়েছেন বিভিন্ন চেয়ারম্যান – তারা বলেন এভাবে যদি একের পর এক জানগণের রায়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মামলার আসামি করে হয়রাণি করা হয় তাহলে এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। একই ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে এলাকার অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। এরকম হতে থাকলে এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হবে বলে জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন। চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কামরুল হাসান, চেয়ারম্যান, ধলঘাটা ইউনিয়ন, মোস্তাফা কামাল চেয়ারম্যান হোয়ানক ইউনিয়ন, মোশরফ হোসেন খোকন চেয়ারম্যান, কুতুবজুম, জিহাদবীন আলী, চেয়ারম্যান ছোট মহেশখালী, নুরুল হক, চেয়ারম্যান শাপলাপুর ইউনিয়ন, প্যানেল চেয়ারম্যান, মুজিবুর রহমান বিএ, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন, আবুল কাশেম, প্যানেল চেয়ারম্যান কালারমার ছড়া চেয়ারম্যা। বড় মহেশখালীর চেয়ারম্যান এয়ায়েত উল্লাহ বাবুল অনুপস্থিতি থাকলেও তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানদের সাথে সম্মতি প্রকাশ করেন।