বাংলাট্রিবিউন : কারাবন্দি খালেদা জিয়ার কাছে ঘরের তৈরি খাবার পৌঁছাতে পারেনি তার পরিবার। পূর্বানুমতি থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ খাবার সেলের ভেতরে নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মেজো বোন সেলিমা ইসলাম।
ঈদুল আজহার দিন বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের তৈরি রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু আমাদের তা ভেতরে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমরা যখন উপরে গেলাম, তখন খালেদা জিয়া জানতে চাইলেন, বাকি আত্মীয়-স্বজনেরা কোথায়? আমরা তাকে বলেছি, আমরা ২০ জন যেতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ছয়জনকে ভেতরে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়।’
এসময় তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুস সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে স্বজনরা কারাগারে প্রবেশ করেন। বেরিয়ে আসেন বিকাল ৫টা ১০মিনিটে।’
আবদুস সাত্তার জানান, কারাগারে ছয়জন সদস্য প্রবেশ করেন। মেজো বোন সেলিমা ইসলাম, আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, তার মেয়ে জাহিয়া রহমান, বড় ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বোন শাহিনা খান জামান ও খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দর।
সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও বাকিরা কোনও মন্তব্য করেননি। তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন করেন, ‘খালেদা জিয়ার কাছে ঘরের তৈরি খাবার পৌঁছেনি। আর ওই সময় পর্যন্ত তিনি খাবার গ্রহণ করেননি।’
সেলিমা ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীর অনেক খারাপ। ঈদের দিন বিকাল পর্যন্তও কিছু খাননি তিনি।’
ব্যক্তিগত সহকারী আবদুস সাত্তার জানান, চেয়ারপারসনের পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে আনা হয়েছিলো। যদিও এই খাবার তিনি খেতে পারেননি।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাসসহ আরও অনেক নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে গেলেও কারাফটক পর্যন্তও তারা পৌঁছাতে পারেনি পুলিশের বাধায়।
ব্যারিকেডের কাছে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মির্জা ফখরুল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠি দেখালেও কর্মকর্তারা জানান, কারও সাক্ষাতের বিষয় তাদের জানা নেই। পরে পুলিশের ব্যারিকেডের পেছনে আধঘণ্টার মতো অবস্থান শেষে বিএনপির নেতারা ফিরে যান। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল কারা কর্তৃপক্ষের এ আচরণের নিন্দা জানান।
দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া
কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘কারাগার থেকে দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। আমি তার পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
‘ঘরের খাবার পৌঁছেনি খালেদা জিয়ার কাছে’
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।