জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম:

অভিনব নিত্য নতুন কৌশল। একের পর এক ফন্দি। এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলা। এভাবে বিস্তৃত করে প্রতারণার জাল বুনতো ফরহাদ নাম এক প্রতারক।

তার এই কৌশলে জানা গেছে, বিদেশে লোক পাঠানোর প্রলোভন,ডিম ব্যবসায় অংশীদার,ব্যাংক লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সহ কিষোয়ান, থাই ফুড, ওয়েল ফুডসহ বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানে ডিম সাপ্লাইয়ার সেঁজে অলৌকিক লাভের প্রলোভনসহ বিভিন্ন অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক কাহিনী।

চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার সাধারন জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলো ছবির এই প্রতারক।

কোন কোন এলাকায় তার এধরনের প্রতারণা জনগণের নিকট প্রকাশিত হলে সে ঐ এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় পাড়ি জমান।

এবং নতুন করে সেখানে গিয়েও পুনরায় বিভিন্ন পন্থায় প্রতারণার আশ্রয় নিত সে। এ যেন তার প্রতারণা আর জীবিকার নগদ আদান প্রদানের উপায়।

মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে অতি অভিনব কৌশলে উক্ত প্রতারক এই পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়।

সে নিজেকে বড় বড় ক্ষমতাসীন নেতার আত্মীয় স্বজন এবং ব্যারিস্টারের ছেলে পরিচয়ে ভুক্তভোগীদের মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তথ্যমতে জানা যায়, এরই মধ্যে পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া এবং কর্ণফুলী থানার জনৈক জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সেলিম, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনাছ, রহিম বাদশা সহ ৩০/৩৫ জন ব্যবসায়িকে সে পথে বসিয়েছে। তাহার ওই অভিনব প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে প্রায় তিন দশক লোক।

তন্মধ্যে প্রতারণার শিকার কর্নফুলী থানাধীন চরপাথরঘাটা এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর স্ত্রী ও রাঙ্গুনিয়ার কাজী আনিসুর রহমানের দায়ের করা মামলা নং-  ২৩,ধারা- ৪০৬/৪২০ এর প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মোঃ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গতরাতে চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক মোঃ ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী (৩৬), পিতা-আবু তালেব চৌধুরী, মাতা-জমিলা খাতুন, সাং-মধ্যম ছাডারাপুটি, সরু মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়ী, পোঃ-ছনহরা, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় ৪৫লক্ষ থেকে ৬০লক্ষ টাকার প্রতারণাপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাহার অভিনব প্রতারণা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সে জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে তার বিভিন্ন প্রতারণার কৌশলের কথা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলে জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।