শাহেদ মিজান, সিবিএন:

কক্সবাজার  জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম বলেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জন্ম হতো না হয়তো। তিনি কখনো নিজের জীবনের মায়ায় প্রলুদ্ধ হননি। জাতির মুক্তি প্রশ্নে তিনি সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। দেশ স্বাধীন হলেই দেশীয় মীরজাফররাই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের নির্মমভাবে হত্যা করে বীর বাঙ্গালী জাতির জন্য এক ঘৃণ্য ইতিহাস রেখেছেন। এসব ঘাতকদের জাতি চিরদিন ঘৃণা করবে।’

১৫ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

 কক্সবাজারে জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের  এতে সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত উক্ত আলেচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মো: নুর ইসলাম (বিচারক) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩, বেগম জেবুন্নাহার আয়েশা (বিচারক) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ ফখরুল আবেদীন ও মো: মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত চীফ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কিমার বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী জজ আলাউল আকবর, সহকারী জজ নুসরাত জামান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: তারেক আজিজ, আইনজীবীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবালুর রশীদ আমিন সোহেল, জিপি মো: ইসহাক, পিপি মমতাজ আহমেজ, আমজাদ হোসেনসহ প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মৈত্রী ভট্টাচার্য্য ও এড. প্রতিভা দাশ এবং শোকগাঁথা পরিবেশন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হেলাল উদ্দিন ও সহকারী জজ সাজ্জাতুন নেছা। আয়োজনে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়ােতর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি সোলেমান কাশেমী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ এইচ এম মাহামুদুর রহমান (বিচারক) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত- ১, সিনিয়র সহকারী জজ খায়রুননেছা, মো: আবুল মনসুর সিদ্দিকী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দে, মো: রেজাউল হক। এছাড়াও কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ ও জেলা জজশীপের সকল কর্মচারীরা উপস্তিত ছিলেন। সঞ্চালনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। পরে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়।