জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম:
নিখোঁজ হওয়ার ৯মাস ১৯ দিন পর চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে হাটহাজারী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রীর নাম ইসমা সুলতানা রিফা। সে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমানের মেয়ে। মেয়েটি চরলক্ষ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর মা জানান, গত ২৬শে অক্টোবর শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে সামনের দোকান হতে পান কিনে আনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় রিফা।
দীর্ঘ সময় পরও সে বাড়ি ফিরে না আসায় মা বাবা ও আত্মীয়স্বজনেরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও কোন হদিস পায়নি।
ঘটনার ২দিন পরে কোনো সন্ধান না পেয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১১৩৩) করা হয়। এ অবস্থায় কেটে যায় দিন মাস আর সময়। কোন খবর পায়না বাবা মা।
জনশ্রুতি রয়েছে থানা পুলিশের কাছে করা জিডি তেমন গুরুত্ব পায়না পুলিশী তদন্তে। পরে নিরুপায় হয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে শরণাপন্ন হন ছাত্রীর বাবা মা।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গুরুত্বের সাথে একে একে অনেকের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। এবং একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পায়না পুলিশ। এর পরেও হতাশ হয়ে হাল ছাড়েনি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম।
পরে দীর্ঘ ৯মাস ১৯ দিন পর চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ তথ্যসুত্রে খবর পেয়ে হাটহাজারীর একটি বাসা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, সে মা বাবার ভয়ে স্বেচ্ছায় হাটহাজারী এলাকায় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন,‘ স্থানীয় থানায় করা জিডির কপি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে। উধ্বর্তন অফিসারের নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করি। এবং দীর্ঘ ৯ মাস পর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
তিনি আরো জানান, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।