মোস্তফা কামালঃ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে চাকুরিচ্যুত করতে এক নিরীহ ব্যক্তিকে মিথ্যা অভিযোগের বাদী সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালের এক কর্মচারী সহ ২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায়  মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, গত ৬ জুন শুক্রবার উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেধা কচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মোঃ হোসেনের সাথে তার পুত্র মোঃ ইউনুছের মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে তিনি বাদী হয়ে তার পুত্র ইউনুছ সহ কয়েকজনকে আসামী করে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি)’কে নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তের স্বার্থে ভিক্টিমের জখমী সনদ চান। এতে বাদীর ভাই মোঃ মুছা আলী তার ভাইয়ের জখমী সনদের জন্য হাসপাতালে কর্মরত অফিস সহকারী মোঃ নেজাম উদ্দিনের সহযোগিতায় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এতে সনদের জন্য প্রায় ১ মাসের ভোগান্তিতে গত বৃহস্পতিবার ৯ আগষ্ট হাসপাতাল থেকে জখমী সনদটি নেওয়ার সময় হাসপাতালের (আর.এম.ও) এর দায়িত্বে থাকা ডাঃ শোভন দত্ত ও কর্মচারী মোঃ মোস্তফা মিলে ভিক্টিমের ভাই মোঃ মুছা আলীর কাছ থেকে ১ কপি ছবি সহ অপূরণকৃত ১টি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরে তারা ষড়যন্ত্র মূলক মুছা আলীর স্বাক্ষরিত কাগজটি পূরণ করে অফিস সহকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওই মুছা আলীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও (ও.প.প) কর্মকর্তা ডাঃ শাহ্ বাজ এর কাছে অভিযোগটি দায়ের করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য ও (ও.প.প) কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্ত না করে গত সোমবার ১৩ আগষ্ট হাসপাতালের মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা তুলেন। এ সময় সভায় উপস্থিত হাসপাতালের সভাপতি ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজ্বী মোঃ ইলিয়াছ ভুক্তভোগী নেজামকে ডেকে নিয়ে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় নেজাম অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবী করেন ও একই সাথে অভিযোগকারীর কাছে জানার অনুরোধ জানান। কিন্তু অভিযোগটি মিথ্যা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভাবে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবস্থানে রয়েছে।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ১৪ আগষ্ট সকালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকরা ভুয়া অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও (ও.প.প) কর্মকর্তা শাহ্ বাজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এতে উক্ত কর্মকর্তা কোন ধরণের সৎ উত্তর দিতে পারেন নাই। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকুরী নিয়ে ষড়যন্ত্র করায় উপজেলার সর্বস্থরের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।