সিবিএন ডেস্ক:
গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণের পর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাল্টাপাল্টি বিজয় দাবি করলেও শনিবার কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া। দশটি প্রদেশের সব ভোট গণনা শেষে ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন এড়িয়েছেন তিনি। আর ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পাওয়া মুভমেন্ট অব ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ (এমডিসি) নেতা নেলসন চামিসা দাবি করেছেন ঘোষিত ফলাফল এখনও যাচাই করা হয়নি। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে, ফলাফল নিয়ে কোনও ধরণের চাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ফল প্রত্যাখান করায় নির্বাচন কমিশনের মঞ্চ থেকে বিরোধী নেতাদের সরিয়ে দেয় দেশটির পুলিশ।

১৯৮০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রবার্ট মুগাবে গত বছরের নভেম্বরে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ এর দলীয় প্রধানের পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়াকে। অভ্যুত্থানের দুই সপ্তাহ আগে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করেছিলেন মুগাবে। গত ৩০ জুলাই দেশটিতে অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর গত ১ আগস্ট পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। তাতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি।

এরপরই দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। বুধবাবার সেনাবাহিনীর গুলিতে ছয় জন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এরমধ্যেই ঘোষিত হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল। দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রথম দফার নির্বাচনে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে এমনানগাগওয়া ৫০ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি ভোট পাওয়ায় এখন দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দরকার পড়বে না। ফল ঘোষণার পর এমগাগওয়া টুইটারে একে ‘নতুন শুরু’ আখ্যা দিয়েছেন।

তবে বৃহস্পতিবারও এমডিসি নেতা নেলসন চামিসা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় দাবি করেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি ফফ জালিয়াতির চেষ্টা করছে। তবে এই চেষ্টা মানা হবে না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন বলছে, ফলাফলে কোনও ধরণের চাতুরি করা হয়নি।