বিদেশ ডেস্ক:
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ জানিয়েছেন, একটি ইসলামিক সেন্টার গড়ে তোলার জন্য আবুধাবির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন জায়েদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ তারা ইসলামি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে আমেরিকান-ইথিওপিয়ান মুসলিম সম্প্রদায়ের এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো শাসক বিন জায়েদের সঙ্গে কথোপকথনের স্মৃতিচারণ একথা জানান আবিই। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এখবর জানিয়েছে।

বিন জায়েদের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিন জায়েদ একান্ত আলোচনায় আমাকে বলেন আমরা অনেক বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা, আমরা আপনাদের শিক্ষা দেব। জবাবে আমি বলি, আপনাদের কাছ থেকে আমাদের ইসলাম শিখতে হবে না। আপনারা ধর্মের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো দ্রুত আরবি ভাষা শিখে নেওয়া। যাতে করে আমরা ধর্মকে ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং আপনাদের শেখাতে পারি।

আবিই আহমেদ আরও বলেন, এসময় বিন জায়েদ জিজ্ঞেস করেন কেন? জবাবে আমি বলি, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ঘটছে উল্টো। আপনারা ইসলামের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন। আপনাদের মাধ্যমে যে ইসলামের বিস্তৃতি ঘটছে তা সত্যিকারের ইসলাম না। আপনারা শান্তি ভুলে গেছেন, ভুলে গেছেন কিভাবে ক্ষমা করতে হয়।

কবে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা অবশ্য জানাননি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে গত মঙ্গলবার বিন জায়েদের সঙ্গে তিনি আবু ধাবিতে বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসায়েস আফওয়ারকি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে উভয় আফ্রিকান নেতাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে।

ভার্জিনিয়ায় ভাষণে আহমেদ জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দেশটির প্রতিবেশী সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েতের সম্মিলিত মুসলিম জনসংখ্যার তুলনায় ইথিওপিয়ার মুসলমান বেশি। ইথিওপিয়া আফ্রিকার দ্বিতীয় জনবহুল দেশ, জনসংখ্যা প্রায় ১০৮ মিলিয়ন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মুসলিম।

৪১ বছরের আহমেদের বাবা মুসলিম ও মা ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী।