মোঃ জুবাইর, টেকনাফ:
টেকনাফে দাফনের এক বৎসর পর অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ। গেল বছর রোহিঙ্গা পারাপারের সময় অজ্ঞাত ৪ রোহিঙ্গা নারীর লাশ সাগরে ভেসে আসে। তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩ জনকে দরগারছড়া-হাতিয়ারঘোনা কবরস্থানে ও একজনকে হাবিরছড়া সাগর পাড়ের ঝাউবনে দাফন করা হয়। জোয়ারের তোড়ে হাবিরছড়ার ঝাউবাগান প্রায় বিলিন হয়ে যায়। মাটি সরে যাওয়ায় লাশটি ভেসে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ১৮ জুলাই (বুধবার) সকালে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ঐ নারীর অক্ষত লাশটি দেখতে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাবিরছড়া কবরস্থানে নিয়ে পূণরায় দাফনের ব্যবস্থা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কবির আহমদ জানান, ১ বৎসর আগে (২০১৭সালে) কোরবানেরঈদের পর আমরা সাগর পাড়ে অজ্ঞাত ৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করি। মানবিক বিবচেনায় ধর্মীয় রেওয়াজ মতে সৈকত সংলগ্ন ঝাউবনে লাশটি দাফন করেছিল, সে দিন যে ভাবে দেখেছি আজ ও একই ভাবে আছে।

স্থানীয় মসজিদের খতিব মাওঃ মহিউদ্দীন জানান আমি জীবনে এই প্রথম কবরে যে অক্ষত অবস্থায় লাশ থাকে স্ব-চক্ষে দেখলাম । শহীদ ও আলেমেদ্বীনের লাশকে মাঠি কখনো ভোগ করেনা। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কুদরত দেখতে পেয়েছি, লাশটি আমি সাগরপাড় থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এনে নিজ হাতে দ্বিতীয়বার দাফন করলাম।

সাবরাং বড় মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ নুর আহমদ বলেন উদ্ধার করা লাশটি হয়ত আল্লাহ ওয়ালা ছিল। আল্লাহ পাক নেক ও দ্বীনদার কিছু মানুষকে মৃত্যর পর কবরে ও অক্ষত রাখে। মানুষের ইবরত হাসিলের জন্য মাঝে মধ্যে এরকম অলৌকিক ঘটনা হয়ে থাকে।এটি এর অংশ বিশেষ হতে পারে। এবং মায়ানমারে কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় মারা যাওয়া মহিলাকে শহীদী মর্তাবা দান করেছেন। এ রকম ঘটনা থেকে মুসলমানদের শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।।