ডেস্ক নিউজ:
রবিবারের ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া উত্তেজনাকর ফাইনালে বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ৪ দর্শক। রাজনৈতিকভাবে তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী শিবিরের। ফুটবল মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। এজন্য বড় কোনো শাস্তিও পেতে হয় না। কিন্তু রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই ওই চার দর্শককে এবার বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
লুঝনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশের পোশাকে মাঠে ঠুকে পড়েছিলেন চারজন। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়েরা ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। থেমে গেল খেলা। টিভি পর্দায় হাইলাইট দেখানো শুরু হলো। এর মধ্যে এক তরুণী এমবাপ্পের কাছে গিয়ে হাত মেলালেন। নিরাপত্তারক্ষীরা পেছন পেছন ছুটে জাপটে ধরে টেনেহিঁচড়ে পাঁজাকোল করে মাঠ থেকে বের করলেন সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা ওই তরুণীকে।
অন্যদিক দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন আরও এক পুরুষ দর্শক। তিনি রীতিমতো ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার লভরেনের কাছে এসে কিছু বলেন। বেচারা লভরেন চটে গিয়ে তাকে গলাধাক্কা দেন। তাকেও চ্যাংদোলা করে বের করে আনেন নিরাপত্তাকর্মীরা। বাকী দুই তরুণী কিছু করার আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের থামাতে সক্ষম হন। এই তিন তরুণী হলেন ভেরুনিকা নিকুলশিনা, অলগা পাখতুসোভা ও অলগা কুরাসোভা। একমাত্র পুরুষ দর্শকের নাম পিতর ভেরজিলভ।
জানা গেছে, এই চারজনই ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী পক্ষ ‘পুসি রায়ট’ দলের সদস্য। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাকস্বাধীনতার পক্ষে বার্তা দেওয়া আর ফিফার প্রতি নিন্দা জানানো। ওই ম্যাচটি পুরো সময় বিশ্বের আরও কয়েকজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মাঠে বসে দেখছিলেন পুতিন। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের বিঘ্ন ঘটানোয় তাদের ফুটবল মাঠে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানা গেছে। শুধু এখানেই শেষ নয়; এই চারজনকে জেলের ভাতও খেতে হতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।