আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জলমগ্ন থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা কিশোর ফুটবল দলের আরো এক সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্রিটিশ ও থাই নেভি সিলের ডুবুরিদের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সোমবার দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে গুহা থেকে উদ্ধার করেন।

থাই টেলিভিশনের প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার গুহা থেকে এক কিশোরকে বের করে আনার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে গুহার পাশে চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে চিয়াং রাই প্রদেশের প্রাচ্যানুকরোহ হাসপাতালে নেয়া হয়। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে রোববার উদ্ধার হওয়া বাকি চার কিশোর।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গুহায় আটকা কিশোরদের মধ্যে রোববার চারজনকে উদ্ধার করা হয়; আটকা থাকেন বাকি নয়জন। এদের মধ্যে কিশোর ওই ফুটবল দলের কোচ রয়েছেন।

উদ্ধার মিশনের যৌথ কমান্ড সেন্টারের প্রধান ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন, দ্বিতীয় দফার উদ্ধার অভিযান সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই প্রদেশের গুহায় আটকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে ১৩ বিদেশি ডুবুরি ও থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর অভিজাত শাখা থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্য কাজ করছেন। গুহায় আটকা কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছর।

দীর্ঘ প্রায় ৪ কিলোমিটার সংকীর্ণ ও উঁচু-নিচু জলমগ্ন পথ পাড়ি দিয়ে কিশোরদের উদ্ধারে রোববার অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিকে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, গুহায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ও বর্ষা মৌসুমে বর্ষণের কারণে তাদের এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

কিন্তু রোববার নাটকীয়ভাবে বন্যার পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় এবং বর্ষণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন জানান, কিশোরদের উদ্ধারে এখনই উপযুক্ত সময়।

চলতি সপ্তাহে থাই অাবহাওয়া দফতর জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশটিতে ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে। ভারী বর্ষণে কিশোররা যে জায়গায় আটকা রয়েছে সেই স্থানটিও তলিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হওয়ার পর দ্রুত উদ্ধারে রোববারই অভিযান শুরু করে উদ্ধার মিশন।

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে প্রথম, ৫টা ৫০ মিনিটে দ্বিতীয় এবং এর ১৬ মিনিট পর তৃতীয় কিশোরকে গুহার ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। দেশটির উত্তরাঞ্চলের থ্যাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরে আরো এক কিশোরকে বের করে আনার পর দ্রুত সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগে মং জেলার চিয়াংরাই প্রাচ্যানুকরোহ হাসপাতালে নেয়া হয়।