আলীকদম (বান্দরবান) সংবাদদাতা:
মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকীর জেরে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে বাধ্য হয়েছেন বাদী। মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতারের পর জেল হাজতে থাকলেও অপর দুই আসামী রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে চকরিয়া থানায় গত ২৭ জুন জিডি করেছেন মামলার বাদী রেজাউল করিম।

চকরিয়া থানার এসডিআর নং- ১১২৩ মূলে জানা গেছে, গত ২০ জুন চকরিয়া থানায় শফিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা নং- ৪৮ রুজু হয়। দন্ডবিধির ৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/৩৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ তিন আসামী সহোদর ভাই। তারা চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের পূর্ব কাকারা গ্রামের মৃত ছালামত উল্লাহ পুত্র। এ মামলায় গত ২১ জুন মামলার প্রধান আসামী শফিকুল ইসলাম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। অপর দুইভাই এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

অভিযোগে প্রকাশ, মামলা রুজুর পর থেকে আসামীগণ বাদী রেজাউল করিম ও তার আত্মীয়-স্বজনকে মারধর ও খুন-খারাবীর ঘটনা করার প্রকাশ্য হুমকী দিয়ে আসছে। গ্রেফতার হওয়া আসামী শফিককে দুইদফা জামিন চেয়েও বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করায় অপর দুই আসামী মনিরুল ও জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়। এরপর থেকে দ্বিগুণ ক্ষোভে তারা মামলার বাদীকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এ দুই সহোদর বাদী রেজাউলের বাড়ির আশেপাশে গিয়ে অশ্লীল আচরণ করছে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দিচ্ছে। জিডিতে আরো বলা হয়, গত ২৬ জুন মাঝের ফাঁড়ি স্টেশনে আসামীগণ বাদী রেজাউলকে দেখামাত্র গালিগালাজ করে মামলা তুলে নিতে বলে। অন্যাথায় মারধর, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করার হুমকী দেয়।

উল্লখ্য, মামলার আসামী শফিকুল ও মনিরুল বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার থোয়াইচিং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৈক্ষ্যং ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং উপরোক্ত শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে আলীকদম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা রুজুর পর বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাদেরকে সরকারি চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।