সাইফুল ইসলাম বাবুল 

পেকুয়া উপজেলায় কালবের আওতাধিন কয়েকটি ঋণদান সমিতি আছে। সব গুলো সচল আছে। তবে একটি সমিতি শ্যনা বাজের কবলে। ওই বাজপাখির যেমন ঠোঁট ধারালো, প্রখর দৃষ্টি, ধূর্ত মতলব। এ  তিন অস্ত্র থেকে কেউ রেহাই পায়না। সুনীতি দুর্নীতির সংজ্ঞা আপাতত আমার কাছে নাই। তবে তিনি ঠীকই তস্কর বৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন।

তার ছোবল পড়ে নাই এমন জায়গা খুব কমই আছে। উনি ধূর্ত সংগঠক তাই অনেক সংগঠনের নেতা ছিলেন। কিন্তু সেই সকল সংগঠনকে তিনি অস্তিত্ব সংকটে ফেলে প্রস্তান করেছেন। অর্থাৎ মাছের মা জন্ম দিবেন আবার খেয়ে ফেলবেন এই তার অবস্থা। গিরগিটির মতো রং বদলায়। জীবনের শুরুতে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারপর বিএনপি নেতা সেজেছেন। এখন নাকি আওয়ামীলীগ।

চাকরি বিক্রি করে বা নানাজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়েছেন। তিনি সরকারি চাকরিজীবী তবে কর্মস্থল তথৈবচ। কোনরকম উন্নতি নেই। সেখানে ছিল ষড়যন্ত্র ঝগড়া-বিবাদ তাহলে তিনি কেমন যোগ্য?  ঋণদান সমিতি যথাযথ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। তবে সঠিকভাবে অর্থলগ্ন হয়েছে কিনা  কেউ জানেনা। শুধু কি মামলায় ভরে যাবে? ঋণদানের সময় এজেন্ট নিয়োগ করে উৎকোচ গ্রহণ নিয়মিত ব্যাপার।

যেন কোনো প্রতিবাদ না হয় তার জন্য পেশিশক্তি পালন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের সুযোগদান সহ গ্রুপিং সৃষ্টি করে অত্র প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার কি মানে হয় ? সদস্যদের নিত্য অপমান প্যাঁচে ফেলে বশ্যতা স্বীকারের ব্যবস্থা করা কোন সমবায়ের নীতিতে  পড়ে কিনা জানিনা।

প্রতিষ্ঠানের টেবিলে পা তুলে দুনিয়াময় মানুষদের গালি-গালাজ করার কি মানে বুঝি না। পৈত্রিক সম্পত্তির মতো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে সংগঠনের মামলা, ব্যক্তিগত মামলা, বিদ্ধেষের মামলায় টাকা পাঠানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত? সমতির টাকা গরিব জনসাধারণের, কারো পৈত্রিক ওয়াকফের টাকা  নয়। এখন সদস্যগণ বুঝুক ভোট বিক্রি বিবেক বিক্রি সমান। তিনি অনেক খয়ের খা সৃষ্টি করেছেন। তারা তাকে ভগবান জ্ঞানদান করে তাই তার সব কাজ হালাল। বেয়াদবির উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাকে দিয়ে দেওয়া যায়।

টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেন তাতেও দুর্নীতি। তবে কি সমিতি ধীরে ধীরে real estate হয়ে যাচ্ছে? তিনি আবার নিজেকে পেকুয়ার নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন। যে কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন  করার জন্য উদগ্রীব থাকেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে সদস্যদের নামে বেনামে টাকা নিয়ে সে আত্মসাৎ করেছেন।

হাবভাবে মনে হয় ভেজা বিলাই। এখন প্রশ্ন ঝগড়াটে ব্যক্তি কি কখনো সমবায়ী হতে পারে? অথচ যে কোন কৌশলে তিনি সমিতির নেতা। ঋণদান ও আদায় একটি নিয়মিত ব্যাপার তার জন্য মামলা করলে সমতির উন্নতির টাকা মামলায় খরচ হয়ে যাবে। সে কি দার্শনিক রাজা আমাদের। জাতির বিজ (জন্ম) নেওয়ার জন্য সে কি অপরিহার্য। সমাজের, সমবায়ের ও শিষ্টাচার স্বার্থে তার  প্রস্তান জরুরি। প্রশ্ন হচ্ছে সে যেখানে যায় ঝগড়া হয়। আমরা কি ঝামেলায় থাকবো? ঋণ জালিয়াতি জন্য আজকে গ্রেফতারি পরোয়ানা। হয়তো তাদের কারণে একদিন সমিতির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ আসতে পারে। যারা কষ্ট করে অত্র প্রতিষ্ঠানকে  দাঁড় করিয়েছিল তারা আজ ব্যতীত। যেন তৈরি করা রান্না আজ ডাস্টবিনে কাকে খাচ্ছে। সাথে চলছে তছরুপ আর কা  কা ধ্বনি। এ কথাগুলো ভয়ে ভয়ে লিখছিলাম কারণ তার অনৈতিক সুবিধা ভোগীরা আক্রমণাত্মক, তোষামোদকারীরা জি হুজুর। কবে আবার আমাকে  এক ঘরে করে? তবে যা বলার বলে যাচ্ছি। সবশেষে বলতে চাই আকল মন্দ ইশারা বাসদ।

আপনারা কার কথা বলছি বুঝে গেছেন। আমরা কি ঐ এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি থাকবো? একটু সোজা দৃষ্টিতে দেখলে, দেখবেন তার জীবিকা সম্পদ, ষড়যন্ত্রের খরচ সবই  আমাদের গরিব মানুষের টাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর কতকাল রাখবেন ভাত ছিল না ভাত হয়েছে এবার একটু রাফা করেন। সামনে নির্বাচন একজন ভালো মানুষ বেছে নিবেন হার্মদ এর কবল থেকে সমিতি বাঁচান।