প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আশেক উল্লাহ রফিক এমপি জাতীয় বসংসসদের বাজেট আলোচনায় বলেছেন, মহেশখালী- কুতুবদিয়াতে চাষীদর মাঝে যে লবণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল তা চাষীদের স্বার্থে মওকুপ করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অনেক চাষীর পেশা পরিবর্তন হয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন তিনি লবণ আমদানি বন্ধ করে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন। বেড়ীবাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়ে জাতীয় সংসদে ২০১৮১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনি দেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন বিধায় অর্থমন্ত্রী একটি যুগোপযোগী বাজেট সংসদে উত্থাপন করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় যে মেঘা প্রকল্প কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ও অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন এতে মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একই সাথে এ প্রকল্পের জন্য যে জমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে ওই জমির ন্যায্য ক্ষতিপুরণ প্রদান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ হলেই সহজেই প্লাবিত হয় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি। তাই অবিলম্বে এই দুই উপজেলায় উচ্চতা বৃদ্ধি করে সিসি ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। না হয় এই দুই উপজেলার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, এ ছাড়া মহেশখালীর সাথে চৌফদন্ডী ফেরী চলাচলের কাজ অনতিবিলম্বে শুরু করা প্রয়োজন। মহেশখালীতে সরকার যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে ওই প্রকল্পের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যাবে ফেরী চলা শুরু হলে।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃিতিক দুর্যোগে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় সবকটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ অবিলম্বে সড়ক নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন আরো তরান্বিত করতে হবে। ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় আরো সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় নির্মাণ করে জনগণের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কুতুবদিয়া উপজেলা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। বিদ্যুৎ না থাকায় নানা সমস্যার জর্জরিত এই দ্বীপবাসী। তাই অবিলম্বে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এই উপজেলায় বিদ্যুতায়ন অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারণে লবণ চাষীরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এই স্বয়ং সম্পুর্ণখাতটি এখন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।