ইমরান হোসেন মুন্না

কেমন আছো তুমি?? খুব জানতে ইচ্ছে করে কথাটি। কিন্তু কি কপাল আমার চাইলেও জানতে পারি না। মাঝ রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। সুখের স্বপ্ন গুলো দুঃস্বপ্নের মতো উকি দিয়ে যায়। ঘুমের সাথে তুমিও আড়াল হয়ে যাও আমার চোখ থেকে হৃদয় স্পন্দন ক্ষিণ হয়ে আসে। চোখের সামনে ভাসতে থাকে তোমার সাথে কাটানো সময় গুলো। একা একাই হাসি। তোমার বোকা বোকা প্রশ্নগুলোর কথা ভেবে। এখনও অপেক্ষা করি তোমার!!

এই বুঝি তুমি এসে বললে ফিরে এসেছি। আর চোখের নোনা জল ঝড়াতে হবে না। এই বুঝি তুমি এসে আমার ঠোট থেকে জলন্ত সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে বললে আর খেতে হবে না এসব ছাইপাস।
এই বুঝি তুমি এসে বললে ঘুমিয়ে পড় রাত হয়েছে অনেক।
এই বুঝি তুমি আমার বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে বললে আর দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলতে হবে না আমি চলে এসেছি।
কি কপাল আমার!

তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে হাতে থাকা জলন্ত সিগারেট টা আঙ্গুলে তাপের আচ দিয়ে বুঝিয়ে দেয় পাগল তুই ঘুমের ঘোড় ছাড়। ওগুলো মিছে স্বপ্ন। তোর বুকের হাহাকার সারা জীবন হাহাকারেই থাকবে নির্ঘুম রাত তোর সঙ্গি হয়ে গেছে।
তখন শুধু তোমার স্মৃতিচারণ আর মোবাইল ফোনের ভেতরে লুকিয়ে রাখা কিছু স্মৃতি হাতড়ে রাতটুকু পার করার নিরন্তর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

রাতটা বড়ই নিষ্ঠুর জানো ??
মাঝ পথে জাগিয়ে দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে যায়।
ঘুমের সাথেতো সেই কবেই আড়ি হয়ে গেছে আমার।
খুব করে তোমাকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করে। একবার ফিরে এসে আমাকে একটু ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যাবে ?
অনেক দিন নিশ্চিন্তে ঘুমোইনি।
এক বার এসো না..
মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আমাকে একটু ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যাও, আর জ্বালাবো না তোমাকে।

তোমার মনে আছে তোমার জন্মদিনে তোমার বার্থডে গিফট পাঠাতে গিয়ে তিন ঘন্টা ঝড়ো বৃষ্টিতে ভিজে ছিলাম। সে রাতে অনেক জ্বর এসেছিলো জানো ? তোমাকে ভয়ে বলি নি। পাছে তুমি রাগ করো তাই। সে দিন রাতে বারোটা পর্যন্ত জাগতে পারবো না তাই জ্বর নিয়েই রাস্তায় হেটেছিলাম। যদি ঘুমিয়ে পড়ি এ ভয়ে। তুমি জানো সে রাতে পুরোটাই রাস্তায় কাটাতে হয়েছিলো পরদিন সকালে দেখি আমি হাসপাতালের বেডে। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে নাকি মানুষ জন ধরা ধরি করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো। তোমাকে বলিনি যদি অভিমান করো এই ভয়ে।

সে দিন খুব কেদেছিলাম যে দিন তুমি বলেছিলে তোমার পথ থেকে সরে যেতে।
ছেলেদের মন নাকি পাথরের মত। কান্না তাদের সোভা পায় না। পাথরের কান্নাই নাকি ঝর্ণা।
আসলেই সেদিন চোখ থেকে ঝর্ণাধারাই প্রবাহিত হয়েছিলো। অনেকগুলো সাজানো স্বপ্ন ভেঙে যে সে দিন চুরমার হয়েছে।
কি দোষ ছিলো আমার বলতে পারো??
দেখতে সুন্দর নই আমি এটাই??
নাকি তোমার বাবার মতো আমার বাবার অঢেল সম্পত্তি নেই এটা আমার অপরাধ??

উত্তরটা আজও জানা হলো না।
হয়তো প্রশ্নগুলোও তোমার কাছে পৌছাবে না।
তবুও তুলে রাখলাম। যদি কোনদিন সামনে পাই তবে সেদিন প্রশ্নগুলো করবো তোমাকে। উত্তরটা যে খুব দরকার !
তোমার শেষ কথা ছিলো ভালো থেকো আর দোয়া করো,
আমি ভালো আছি কিনা বলতে পারি না। তবে সব সময় দোয়া করি সুখে থেকো।
যেখানেই থাকো আর যেভাবেই থাকো দুখের কালো ছায়া যেনো তোমার চোখের কাজলকে নষ্ট না করে।