মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি :
নাইক্ষ্যংছড়িতে এক রাতে তিন বসত বাড়ী ও ২টি দোকান ঘরে দূর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ৭ জুন (বৃহস্পতিবার) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে ডাকাতদলের প্রহারে গুরুতর আহত হয়েছেন চার ব্যক্তি। আহতরা হলেন, সোনাইছড়ি ইউপির জারুলিয়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়ার পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫), একই এলাকার মৃত বদিউল আলমের পুত্র মোঃ শাহজাহান (৩৫), মোক্তার হোছন (৫০) ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫)। আহতদের মধ্যে শাহজাহানের অবস্থা আশংকাজনক। তার দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে ডাকাতদলের সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ১৫/২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল জারুলিয়াছড়ির ৩টি বসত বাড়ী ও রাস্তার পাশে থাকা ২টি দোকান ঘরে লুটপাট চালিয়ে অন্তত ৩ লক্ষ নগদ টাকা এবং স্বর্ণের কানের দুল ২টি, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যরা মোঃ শফিকুল ইসলামের দোকান থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা সহ বাড়ী থেকে ঋনের ৩৫ হাজার টাকা, ইউনুছ আলীর দোকান থেকে ৭ হাজার টাকা, শাহজাহানের স্ত্রী মোহছেনা বেগম থেকে নগদ ৬২ হাজার টাকা, মোক্তার হোছন থেকে ৩০ হাজার টাকা, সাইফুল ইসলাম থেকে দেড় হাজার টাকা সহ মোটর সাইকেলের চাবি লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদলের প্রহারে চার ব্যক্তি আহত হয়।
ডাকাতদলের প্রহারে আহত হওয়া মোক্তার হোছন জানান, গভীর রাতে ১৫/২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল তার বাড়ীতে অতর্কিত হানা দেয়। বাঁধা দিতে গেলে এলোপাতাড়ী মারধর করে। ডাকাত দলের সদস্যরা মুখোশ পরিহীত অবস্থায় ছিল। তাদের হাতে দেশীয় তৈরী এক নলা বন্দুক সহ দা, চাপাতি ছিল। ডাকাতদলের সদস্যরা তার বাড়ী থেকে ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি এলাকায় ডাকাত দল হানা দেয়। এসময় শফিকুল ইসলাম, শাহজাহান ও মোক্তারের বসত ঘরে লুটপাট চালায় এবং তাদের বেদড়ক মারধর করে। মারধরে আহত হন ৪ ব্যক্তি। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত শাহজাহানকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) জায়েদ নুর জানান, দূর্ধর্ষ ডাকাতির খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। ডাকাতদলের সদস্যদের ধরতে সম্ভাব্য স্থানে পুলিশ সাড়াশী অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় এখনো কোন ধরনের মামলা দায়ের হয়নি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস পূর্বেও একই গ্রামে সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা লুটপাট চালায়। ডাকাতির ঘটনায় ভয়ে ৫ চাক পরিবার পাড়া থেকে পালিয়ে গিয়ে পাশর্^বর্তী স্কুলে আশ্রয় নেন। এঘটনার রেশ না কাটতেই আবারো দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হওয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ বসত ঘর ২ দোকানে ডাকাতি , আহত ৪
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।