শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়ায় প্রাইভেট কার চাপায় রিক্সাচালক আব্দুল মালেকের পা হারানোর ঘটনায় রামু উপজেলার দক্ষিণমিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোর ছেলে মো. রিয়াদ (১৮) অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে। মো. রিয়াদ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে রাস্তার পাশে বিশ্রাম নেয়া ওই রিক্সাচালকে চাপা দিয়েছিলো।

বৃহস্পতিবার (৭জুন) রাত ৯টায় কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় মোন্তাকিম শুভ নামে রিয়াদের এক বন্ধুকেও আটক করা হয়। তবে সে মামলার আসামী না হওয়া তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আবুল মনছুর সিবিএনকে জানান, গত ২২ এপ্রিল রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে রিয়াদের চালানো বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার রিক্সাচালক আবদুল মালেকে চাপা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক জখম হয়। পরে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। অন্ডকোষেও মারাত্মক আঘাত হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মো. রিদুয়ানকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে,  মহেশখালীর কালারমারছড়া নোনাছড়ির বাসিন্দা আবদুল মালেক কক্সবাজার শহরের রিক্সা চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে। তবে অন্তত তার জানটা বাঁচানোর জন্য অনেক অনুরোধ করার পরও প্রাইভেটকার চাপা দেয়া মো. রিয়াদ বা তার পিতা ইউনুচ ভুট্টো এগিয়ে আসেনি। এমনকি দেখতে পর্যন্ত আসেনি। মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে যত সামান্য চিকিৎসা করেছেন আবদুল মালেক। এখনো তিনি সুস্থ হয়ে উঠেননি। তবে সুস্থ হলেও বরণ করেছে চিরপঙ্গুত্ব।

এদিকে ইউনুচ ভুট্টোর বখাটে পুত্র মো. রিয়াদ গ্রেফতারের পর এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধিসহ একটি সিন্ডিকেট তাকে ছাড়িয়ে নিতে নানা ভাবে প্রচেষ্টা চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়েনি ডিবি পুলিশ। রাত ১টার দিকে তাকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার সিবিএনকে জানান, আটক মো. রিদুয়ান থানায় রয়েছে। দিনের বেলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।

 

পড়ুন: আহারে জীবন!