মানবাধিকার সমুন্নত রাখার তাগিদ দিল জাতিসংঘ

মাদকবিরোধী অভিযানে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সব দেশকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তির প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভিয়েনায় জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত শুক্রবার রাতে প্রেস ব্রিফিংয়েও এ কথা জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউএনওডিসি বিদ্যমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইউএনওডিসি বৈশ্বিক মাদক সমস্যাবিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন শেষে গৃহীত দলিল এবং মাদক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক তিনটি আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে মাদক নিয়ন্ত্রণে মানবাধিকারভিত্তিক সামঞ্জস্যপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলোর অঙ্গীকার পূরণের আহ্বান জানায়।’

ইউএনওডিসি আরো জানায়, ‘আন্তর্জাতিক রীতি ও মান বজায় রেখে যথাযথ আইনি সুরক্ষা এবং সাক্ষ্যভিত্তিক প্রতিরোধ, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে  অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সব দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে আমরা প্রস্তুত।’

এদিকে গত শুক্রবার রাতে নিউ ইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি এক সাংবাদিক জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হককে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি স্টিফান ডুজারিককে (জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র) বৃহস্পতিবার বলেছিলাম বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে। মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৬ দিনে ১২৫ জনকে হত্যা করেছে। শুক্রবার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা ছিল।’

এরপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি পড়ে শোনান।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক আরেক প্রশ্নে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তিনি অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতিতে আছেন। তাঁর পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ-সুবিধা নেই। তাঁকে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। বিতর্কিত বিচারের পর তিনি জামিন পেলেও আদালত তাঁকে মুক্তি দেননি। কারণ তারা নতুন মামলা দায়ের করছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?’

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আমাদের অতীতে জানানো উদ্বেগের বাইরে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই।’