গত ২৯ মে মঙ্গলবার সিটিজি সংবাদে এবং এর পর কয়েকটি গণমাধ্যমে “পারিবারিক ব্যবসা ইয়াবা: সব ভাইয়েরা কোটিপতি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের একাংশে আমার নামটি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ভীত্তিহীন।
প্রকৃতপক্ষে আমি কোনদিন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম না এবং বর্তমানেও কোন প্রকার মাদক সক্রান্ত ব্যবসার সাথে জড়িত নাই। বাংলাদেশের কোন আদালতে বা থানায় আমার নামে ইয়াবা সংক্রান্ত মামলাতো দুরের কথা ইয়াবা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যাবে না তা আমি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি। তাছাড়া এর আগে দেশে কোন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা সক্রান্ত কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় নাই।
আমার নির্বাচনি প্রতিপক্ষ চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী রাকিব আহমদ আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদের একাংশে আমার নামটি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ প্ররিবেশন করিয়েছেন। রাকিব আহমদ প্রথম ইয়াবাসহ আটক হয় র্যাব-১ এর হাতে ২০০৮ সালে এর পর আরো একবার ইয়াবাসহ আইন শৃঙ্খলাবাহীনির হাতে আটক হয় রাকিব আহমদ। দেশে বিভিন্ন স্থানে রাকিব আহমদের ইয়াবার চালান আটক করে র্যাব ও পুলিশ যা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। তাছাড়া তাকে নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম প্রথম আলো থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইয়াবা সক্রান্ত অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রাবিক আহমদ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। আমাকেও তার অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাকিব আহমদ এই ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযানের সময় আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত শুরু করেছে।
সংবাদের একাংশে আমার সম্পদের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা শুধু কল্পকাহিনী মাত্র। আমি বাংলাদেশ সরকারের যে কোন সংস্থাকে আমার ব্যবসা ও সম্পদের হিসাব দিতে সব সময় প্রস্তুত আছি। আমি একমাত্র লবণ সক্রান্ত ব্যবসা করে জীবনযাপন করছি। যেমন লবণ মজুদ, লবণ চাষ, লবণের মাঠ ইজারা দেওয়া থেকে শুরু করে মেশিন দিয়ে লবণ মাঠে পানি বিতরণ, লবণ চাষীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি।
তাছাড়া আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বর্তমানের আমি হোয়াইক্য ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যেহেতু আমি কোন প্রকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয় তাই আমি উক্ত সংবাদের যে অংশে আমার নামটি উল্লেখ করা হয়েছে সে অংশের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উক্ত সংবাদের যে অংশে আমার নামটি উল্লেখ করা হয়েছে সেই অংশটি নিয়ে এলাকাবাসী ও প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
আব্দুল মজিদ
সভাপতি- ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, হোয়াইক্যং, টেকনাফ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।