![ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের নিন্দা বিশ্বজুড়ে](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAll/2018March/protest-1-20180515131008.jpg)
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে গুলি, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকাসহ পুরো ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ইসরায়েল সীমান্তের কাছে বেশ কিছু পয়েন্টে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলি, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে অর্ধশতাধিকের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১২শ মানুষ।
গাজা উপত্যকায় আজ নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বছর ওই দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘বিপর্যয়’ বা ‘নাকাবা’ দিবস হিসেবে পালন করে। ওই বছর ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত হয়।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ থেকে বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১২ হাজার মানুষ। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর একদিনে এত বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেছেন যারা এই জঘন্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহতদের মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে।
ইতোমধ্যেই গাজায় হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এদিকে, ইসরায়েল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাও তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার পর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে কুয়েত।