দলীয় নির্বাচন থেকে তাহের কোং ও ডাঃ সিরাজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়িঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের কে হচ্ছে অভিভাবক অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২ মে পর্যস্ত। তবে দীর্ঘ ৮ বছর পর সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী মাসের ২ তারিখে। আর এই উপলক্ষে আওয়ামীলীগের তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল উৎসাহ উদ্দীপনা।

সম্মেলনের তারিখ ঘোষনার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কাউন্সিলদের সাথে যোগাযোগ ও ব্যস্ত সময় পার করেছিল। তারা নিজেদের গ্রহন যোগ্যতা প্রমানেরও চেষ্টা করছেন। আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা, সাবেক সদস্য সচিব ও গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তারেক রহমান ও শক্তিশালী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবু তাহের কোম্পানি।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তাহের কোম্পানি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাই সভাপতি পদে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির আস্থার প্রতীক অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ। কারণ তিনি নেতা-কর্মীদের সবসময় পাশে থাকাই তার এগিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। এছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও চাইছেন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হউক শফিউল্লাহ।

তাদের মতে তিনি একাধারে সমাজসেবক, শিক্ষক। নাইক্ষ্যংছড়িতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির হাতকে আরো শক্তিশালী করতে শফিউল্লাহর বিকল্প নেই বলে মনে করেন নেতা কর্মীরা। বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলম কোম্পানি জানান, যাদের অবদানে নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান তাদেরকেই বিবেচনায় নিবে তৃনমূলের আওয়ামীলীগ।

গত ইউপি নির্বাচনে যারা নৌকাকে জেতাতে ভূমিকা রেখেছে তাদেরকেই নেতৃত্বে আসতে হবে। ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হারেজ জানান, অধ্যাপক শফিউল্লাহ তৃনমূলের খবর রাখেন। তাই আসন্ন কাউন্সিলে তাকেই কাউন্সিলরা নির্বাচিত করবে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক উবাচিং মার্মা জানান, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রথম পছন্দ অধ্যাপক শফিউল্লাহ। তাই আশা করছি তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের পছন্দকে প্রাধান্য দিবেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন উপজেলার বর্তমান সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার ও ডাঃ সিরাজ। বুধবার হঠাৎ করে ডাঃ সিরাজ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে ইমরান মেম্বার। এ বিষয়ে তাহের কোম্পানি ও ডাঃ সিরাজ থেকে জানতে চাইলে তারা উভয়ে প্রত্যাহার করার কথা স্বীকার করেন এ প্রতিবেদকের কাছে।

অপর সভাপতি প্রার্থী তারেক রহমান নিজে শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে দাবী করে বলেন,আগামী ২ মে সম্মেলন ও কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হবেন এই জন্য তিনিও তৃনমূল নেতা কর্মীদের সমসময় পাশে থাকেন। সাবেক ছাত্র নেতা আব্দু ছাত্তার ও তৃনমূলের অনেক নেতা কর্মীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে তারেক রহমানের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক এখন অপেক্ষার পালা।