অনলাইন ডেস্ক : ইরাকের সাবেক প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবরের পরিণতি কী হয়েছে তা জানা যাচ্ছে না। ২০১৪ সালে আইএস দমনের নামে ইরাকী সেনাবাহিনী সাদ্দাম হোসেনের মাযারের উপর বোমা বর্ষণ করে গুড়িয়ে দেয়। ফলে লাশও পাওয়া যাচ্ছে না।

আশ-শারকুল আওসাত নামক পত্রিকা সাদ্দাম হোসেনের জন্মস্থান তিকরিতের সালাহুদ্দিন জেলার গোত্র পরিষদের সদস্য শেখ আহমদ আনজির বরাতে জানিয়েছে, সালাহুদিনে আইএস প্রবেশের পূর্বে সাদ্দাম হোসেনের পরিবার তার লাশ গোপনে সরিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সাদ্দাম হোসেনের মাজার আইএস গুড়িয়ে দেয়। সে কবরে এখন আর তার দেহাবশেষ নেই।

সাদ্দাম হোসেনের গোত্রপ্রধান আবু নসরের প্রধান শায়খ মানাফ আলী আন্নাদা জানিয়েছেন, সাদ্দাম হোসেনের কবর খুড়ে উড়িয়ে দেয়া হয়। তবে কারা এ জড়িত শেখ মানাফ তার উল্লেখ করেননি। এখন সেখানে হাশদ শাবি নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে বিশেষ অনুমতি ব্যতীত কাউকে যেতে দেয়া হয়না। এছাড়া সাদ্দাম হোসেনের গোত্রের সবাই নির্যাতনের ভয়ে কুর্দিস্তানে চলে গেছে।

অপরদিকে তিকরিতের একজন সরকারি কর্মকর্তা হামলার কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনের লাশ তার কবরেই বিদ্যামান ছিল। তবে আমাদের ধারণা তার মেয়ে লাশ নিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছেন।

কিন্তু স্থানীয় এক প্রতক্ষদর্শী ওই কর্মকর্তার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সাদ্দামের মেয়ে তো ইরাকেই আসেন নি। তিনি কী করে লাশ নিয়ে যাবেন? আমরা দেখেছি সাদ্দামের কবর খুড়া হয়েছে। কে বা কারা তার লাশ নিয়ে গেছে তা আমরা দেখতে পারিনি। এসবের পেছনে কাদের হাত আছে তা সরকারি বাহিনীই ভালো বলতে পারবে।

ফ্রান্স প্রেসের একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ইরাকের তিকরিত শহরের আল ওয়াজা এলাকায় অবস্থিত সাদ্দাম হোসেনের কবরের ওপর বোমা হামলা হওয়ায় তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ইরাকে রাসয়ানিক অস্ত্র তৈরি ও মজুদের কথিত অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর মার্কিন সেনাবাহিনী সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। তিনি ইরাকে একাধারে সাড়ে ২৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। সূত্র : আল-আরাবিয়া, ইয়েনি সাফাক