মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে দুই মাস নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত নদীতে সকল যান্ত্রিক নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার উননেছা শিউলী।
কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে হালদা নদী পাড় এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রস্তুতি হিসেবে ডিম আহরণের জন্য শত শত রেনু সংগ্রহকারীরা এখন নদী পাড়ে অপেক্ষায় গুনছে। বৃষ্টি দেখা দিলে মা-মাছ যে কোন সময় ডিম ছাড়তে পারে এমন আশংকা করছেন হালদার ডিম সংগ্রহকারীরা। নদীতে এখন মাছ-মাছের আনাগোনা বাড়ছে।
সরেজমিন হালদা নদী এলাকা ঘুরে লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান,বৃষ্টি আর প্রচুর পাহাড়ী ঢল দেখা দিলে মা-মাছ ডিম ছাড়বে তার উপর নির্ভর করে আমরা অপেক্ষা আছি। হাটহাজারীর আংকুরাঘোনা ও মেখল সুইটগেট,গড়দুয়ারা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় অনেকেই নৌকা স্স্কংার করছে তাড়া হুড়ো করে। স্থানীয় লোকজন প্রতি বৎসর অপেক্ষায় থাকেন হালদার রেনুপোনা সংগ্রহ করার আশায়। অনেকেই জানান,নদীতে মা-মাছ আসতে শুরু করেছে আর আবহাওয়া আবস্থা অনেকটা ভালো যার কারনে নদীতে মা-মাছ আগাম দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির অবস্থা ভালো থাকলে নদীতে মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারে যার কারনে তাড়া হুড়া করে নৌকার সংস্কারের কাজ শেষ করছি।
হালদা নদীর নাজির হাট থেকে কালুর ঘাট পর্যন্ত ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়। হালদার সাথে সংযুক্ত রাউজানের সর্তা খাল, তেলপারই খাল, সোনাইর খাল, কাগতিয়া খাল, ডোমখালী খাল, মগদাই খাল, বইজ্যাখালী খাল, উভলং খাল, হাটহাজারীর বোয়ালিয়া খাল, খন্দকিয়া খালেও মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ করা হয়। মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুমে নদীতে মাছের আনাগোনা দেখা গেলেও মাছ শিকার ও যান্ত্রিক নৌযান চলাচল বন্ধ হয়নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
নদীর পাড়ের জেলে পরিবাররা জানান,সব কিছু নির্ভর করা হয় বৃষ্টির উপর। বৃষ্টি হলে হয়তো মৌসুমের আগেই মা-মাছ ডিম ছাড়ে। হালদার একাধিক ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথাা হলে তারা জানান, এখন নদীতে কোন ঢল নেই তবে প্রচুর মা-মাছের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিতে ঢল দেখা দিলে ডিম ছাড়বে মা-মাছ। তারা প্রতি বছরের মত এবারও সব প্রমÍতি নিয়েছেন বলে জানান ।এ দিকে নদীতে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকাসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষা করছেন ডিম সংগ্রহ করতে। প্রতি বছরের মত এ বছরও ডিম সংগ্রহণ করার জন্য নৌকা নিয়ে নদীতে অপেক্ষায় করছেন। যে কোনো সময় মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারে।