আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে শায়েস্তা করতে একযোগে সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরকিদের ওপর রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে পশ্চিমা বিশ্বের হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সিরীয় ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোঁড়ার দাবি করা হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম মিত্র রাশিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, পশ্চিমাদের ছোঁড়া ১০৩ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ৭১টিই ভূপাতিত করেছে সিরিয়ায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এদিকে, রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়ার দামেস্ক এবং অন্যান্য শহরের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা হামলায় কোনো সিরীয় বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের একযোগে সিরিয়া আগ্রাসনের ব্যাপারে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
মাত্র ১০ দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা সহযোগীরা বলেছিলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সামরিকবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেন, আগামী ছয় মাস অথবা তার বেশি সময়ের মধ্যে সিরিয়া থেকে সামরিক বাহিনী ডেকে পাঠাতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু হঠাৎ সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প। সিরিয়ায় বেসামরিকদের ওপর রাসায়নিক হামলার অভিযোগে ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে নিয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ উঠে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে। ওই হামলায় এক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।