সিবিএন ডেস্ক:

সিরিয়ায় সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলাকে ঘিরে অনেকটাই মুখোমুখি রাশিয়া আর পশ্চিমা বিশ্ব।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা সহযোগীরা সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছে আর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে সমর্থন যোগানো রাশিয়া বলছে এটি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে।
এর মধ্যেই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস বলেছেন, “প্রতিশোধ নিয়ে ফিরে আসছে স্নায়ুযুদ্ধ”।
এমনতেই যুক্তরাজ্যে সাবেক এক রুশ গুপ্তচর আর তার মেয়েকে নার্ভ এজেন্টে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে কূটনৈতিক যুদ্ধে রয়েছে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব।
যদিও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া একে ‘নির্জলা মিথ্যে’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এর সাথে যোগ হয়েছে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলার খবর।

আর এসব কারণেই জাতিসংঘও এখন আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে বিশ্বে আবার ফিরে আসছে স্নায়ুযুদ্ধ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে চলা স্নায়ুযুদ্ধ কয়েক দশক ধরে বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছিলো যার অবসান হয়েছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্য দিয়ে।
সোভিয়েত ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া শক্ত অবস্থান নিয়েই টিকে আছে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে।
এখন জাতিসংঘ মহাসচিব বলছেন, “কিছুটা ভিন্নভাবে হলেও প্রতিশোধ নিয়েই ফিরে আসছে স্নায়ুযুদ্ধ”।
নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
ওই সভাতেই রাশিয়ার প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রকেই পাল্টা অভিযুক্ত করেছেন সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলার জন্য।
আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির দাবি গত সাত বছরে সিরিয়ায় আসাদ সরকার অন্তত সাতবার রাসায়নিক হামলা করেছে।

যদিও সিরিয়ার সরকারও সম্প্রতি পূর্ব ঘুতার দৌমা শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন ভিকটিমদের রক্তসহ প্রয়োজনীয় নমুনা নিয়ে তারা নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছেন।
তবে এটিকে প্রচারণা আখ্যায়িত করে এর জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করলেও জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের দূত সেটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ওদিকে যুক্তরাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রীরা রাশিয়ার কথিত রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারকে ‘বিনা চ্যালেঞ্জে’ না ছেড়ে দিতে একমত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ ইস্যুতে একযোগে কাজ করতে একমত হয়েছেন।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে রাশিয়ার দূত বলেছেন ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক শান্তিকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
আর এমন পরিস্থিতির কারণেই আবারো স্নায়ুযুদ্ধের আশংকা প্রকাশ করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
সূত্র: বিবিসি