সিবিএন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১২২ জন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ চিকিৎসাকর্মী।
ইসরাইলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানোর মধ্য দিয়ে ভূমি দিবস উপলক্ষে টানা তৃতীয় শুক্রবার ইসরাইল সীমান্তে ভূমি দিবসের বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর এদিনও গুলি ছোঁড়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
আলজাজিরা জানায়, আহত বিক্ষোভকারীদের শুশ্র“ষার জন্য খান ইউনিস সীমান্তের কাছে একটি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে ইসরাইলি সেনারা। তাতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ চিকিৎসাকর্মী। গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টানা ৬ সপ্তাগের কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত ও অন্তত দুই হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ৩০ মার্চ ছিল ভূমি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনিদের টানা ৬ সপ্তাহের বিক্ষোভের প্রথম দিন।
এদিন গাজার ইসরায়েল সীমান্তের ছয়টি স্থানের বিক্ষোভে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এ বিক্ষোভ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৫০০ মানুষ আহত হন। জাতিসংঘের হুশিয়ারি উপেক্ষা করে পরের সপ্তাহেও গুলি চালানো অব্যাহত রাখে ইসরাইল। সেদিন নিহত হয় সাংবাদিকসহ নয় ফিলিস্তিনি। এছাড়া শুক্রবারের আগেও ইসরাইলের গুলিতে দু’জন ও পরে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচির সমন্বয়ক কমিটির সদস্য আমের শ্রেইতির বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শুক্রবারের বিক্ষোভের থিম নির্ধারণ করা হয়, ইসরাইলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা তুলে ধরা। বিক্ষোভ দেখানোর পাঁচটি স্থানের প্রত্যেক স্থানেই জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য ২৫ মিটার দীর্ঘ ইসরাইলের পতাকা বানানো হয়। ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে হারেৎজের খবরে বলা হয়েছে, বিগত ঘণ্টায় ইসরাইলের সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকবার হামলার চেষ্টা চালিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। প্রতিরক্ষা অবকাঠামো রক্ষার নীতি অনুযায়ী তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
গাজা সীমান্তে ১২২ ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
![](https://www.coxsbazarnews.com/wp-content/uploads/2018/04/1523672416.jpg)