কাজী আবদুল্লাহ :

সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি এশার উপর অন্যায় করা হয়েছে, শুধু অন্যায় নয় চরম ভাবে তাঁর সততাকে চপেটাঘাত করা হয়েছে।
আবাসিক হল শিক্ষিকার বক্তব্য এবং পা কাটা মেয়েটির বক্তব্য রগ এশা কাটেনি।
সে নিজেই রাগে ক্ষোভে গ্লাসে লাথি মেরে পা কেটেছে।
অথচ এশাকে মিথ্যে তথ্যের উপর বহিষ্কার করা হয়েছে
তাঁর আবেগ-ভাললাগা-ভালবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে।
হল/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

অথচ এশার পাশে তখন তাঁর প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থাকার কথা ছিলো।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে অবাক দৃষ্টিতে দেখেছি,
কিভাবে কতিপয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা নেত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে না তাকিয়ে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে মদদ দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে!
অথচ এশা কিন্তু তাঁর হল স্থিতিশীল রাখতে,
আন্দোলনে যেতে বাধা দিয়েছে, যা অনেক ছেলেদের হলের সভাপতি সাধারন সম্পাদক ও পারেনি।
এশার এই দায়িত্ব পালন করা কি ছাত্রলীগ তথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিতে ভুল?
যদি ভুল না হয় তাহলে কেন এশাকে বহিষ্কার করা হলো, বিশ্ববিদ্যালয় স্থিতিশীল রাখতে এশা যদি সাধারন ছাত্রীদের বাধা দিয়ে থাকে তাহলে সেটা ছাত্রলীগ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য কি ক্ষতির কারন?
এশাকে তো পুরস্কৃত করার কথা!
রগ কাটার তথ্য যে মিথ্যে সেটাও প্রমানিত!
তাহলে এশার আর কি অন্যায়?
হলের সাধারন ছাত্রীরা এশাকে জুতা পরিয়েছে,
সাধারন ছাত্রীদের ব্যানারে ছাত্রী সংস্থার জামাত বিএনপির মতাদর্শের নেতাকর্মীরা এই নোংরামি করেছে,
সেটা সাধারন মানুষ না বুঝলেও অন্তত ছাত্রলীগের হাইকমান্ডের বুঝা উচিৎ ছিলো।

#এশা বোন তোমাকে শান্তনা জানানোর ভাষা
আমার/আমাদেন জানা নাই। তুমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থেকে তোমার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছো,
যেখানে অনেক বড় বড় পদধারী নেতা,
হাইকমান্ড নেত্রীর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেনা!
সিদ্ধান্ত মানেনা।
সেখানে তুমি যে দায়িত্ব পালন করেছো তা নৈতিক হলেও তোমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
তোমার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে একটু চালাক হবার দরকার ছিলো।
তুমি হয়তো দেখেছো, জেনেছো, অতিতে যারা এই ছাত্রলীগের জন্য জীবনবাজি রেখেছে, তাদের কে বঞ্চিত করা হয়েছে,অবমুল্যায়ন করা হয়েছে।
মুল্যায়ন করা হয়েছে, হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারীদের কে।
তোমার বেলায় ও তাই হয়েছে।

কাজী আবদুল্লাহ

কিন্তু এই একটি মিথ্যে গুজবে কান দিয়ে তোমার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তা তোমাকে, তোমার পরিবার ও তোমার আগামী প্রজন্মকে আজন্মকাল বহন করতে হবে।
বিয়ের সময় হয়তো কেউ প্রশ্ন তোলবে এই সেই মেয়ে না যাকে জুতার মালা পড়ানো হয়েছিল?

বাড়ি থেকে বের হলে হাজারো মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে,একজন আরেকজনকে নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বে বলবে এই মেয়েটাকে মনে হয় সুফিয়া কামাল হলে জুতার মালা পড়ানো হয়েছিল যে??

তোমার জীবনে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো
তোমারি ভালবাসার ছাত্রলীগের ভাইদের অযোগ্য নেতৃত্ব আর ভুল সিদ্ধান্তে!!!!!!!!!!!!!!

ক্ষমা করে দিও বোন….