বার্তা পরিবেশক:
মহেশখালীতে দুর্বৃত্তের হামলায় নারী ও শিশুসহ ২ আহত হয়েছে। এই সময়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও র্স্বনালংকারও নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা । গত ৬ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় হোয়ানক রাজুয়ারঘোনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, এই এলাকার আবু হেনার স্ত্রী জুলেখা আকতার (২৪) ও পুত্র আবু বয়ান (৩)।

আহত জুলেখা আক্তার জানান, আমার শিশু আবু বয়ানকে ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয়রা উদ্বার করে মহশেখালী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার শাশুড় আব্দুল হক কে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে তিনি কক্সবাজার থাকা কালিন ঘটানাটি জানাইয়া পরে আমার শাশুড় হাসপাতালে এসে চিকিৎসার পর ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হইয়া , মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেন। কয়কে মাস আগে থেকে আমার বসতবাড়ি জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছিলেন কয়েকজন দুর্বৃত্তরা । ঘটনার দিন একই ইউনিয়নের, আলী আহম্মাদের পুত্র নুরুল আমিন (৪৫), হাবিবুর রহমানের পুত্র, রাহামত উল্লাহ, নুরুল কবিরের পুত্র মোহাম্মদ হামিদ (২৫), ফরুক আহম্মদের পুত্র আব্দুল সত্তর (৩০), আব্দুল সালাম পিতা- ঐ, জাফর আলম প্রকাশ (হালা বদার) পুত্র জুলহাস, আবুল খাইরের পুত্র নুরুল ইসলাম (২৮), মৃত হোছাইন আলীর কন্যা পারভিন আক্তার (৩০) সংজ্ঞ বদ্ধ হয়ে ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী আমার বসতবাড়িতে হানা দেয়। এই সময় আমার বাড়ি ভাংচুর করে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি করে এবং র্স্বনালংকার ও মোবাইল নিয়ে যায়। নুরুল আলম হোয়ানক ইউনিয়নের হলেও বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী র্কাযক্রম চালায়। তার অত্যচারে আমরা পাহাড়ে বসাবাসকারীরা অতষ্টি। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না।

ইতিমধ্যে তার সন্ত্রাসী র্কাযক্রমরে জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন । তার কাছে রয়েছে বিপুল পরিমান অস্ত্রভান্ডার। আমরা পাহাড়ে বসাবাসকারী লোকজন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে নুরুল আলম আমার বসতবাড়ীসহ নারীদেরকেও ব্যাপক মারধর করার পর এখন মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে আসছে জানা যায়। ভিটাবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাঁপ সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তা তার জন্য আকুল আবেদন করছি।
ঘটনার বিষিয়ে অভিযুক্ত পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।