মো: গোলাম মোস্তফা ( দুঃখু )

জীবন আলোর আরেক নাম,
পড়ার টেবিলের ঘর।
স্বপ্ন দেখি চাকরি পাবো,
জীবন নিয়মের  মাঝে।

মেধা আমার শূন্য হলো,
কোটার মাঝে পড়ে।
সকাল এলো আমার মাঝে,
লাশের দেখা নিয়ে।

আমায় তোমরা বাঁচতে দাও,
জীবন স্বপ্নের মাঝে।
এমন জীবন চাইনি আমি,
লাশের দেখা নিয়ে।

বাবা তুমি শুয়ে আছো কেন?
এইতো আমি তোমার সন্তান ,
চেয়ে দেখ বাবা।
তোমার অসহায় শিক্ষিত সন্তান !
তোমাকে বাঁচাতে পারে নি ,
একমুঠো ভাতের জন্য।

তোমরা আমার বাবা কে,
প্রাণ সহ ফিরিয়ে দাও।
আমি শিক্ষিত বেকার সন্তান !
না হয় আমায় তোমরা
মৃত্যু দন্ড দাও।

বাবার মুখে মিষ্টি হাসি ,
দিনের আলোর মাঝে ।
এমন করে হাসছো কেন,
আমার প্রাণের বাবা।

সন্তান আমার ভাইবা দিবে,
চাকরি নিয়ে ফিরবে ঘরে।
বাঁচবো আমি পৃথিবীর মাঝে !
চিকিৎসার খরচ দিবে আমায়,
সরকারী চাকরি করে।

ভাইবা কেমন হলো তোমার ?
বাবা এবার বুঝি চাকরি টা হবে।
সেদিন তোমার হাসি আমায়,
প্রাণ দিয়েছিল দেহে।

রেজাল্টের খবর শুনে বাবা,
নীরব কান্না করে।
আমার মাথায় হাত রেখে
মায়ার আদর দিলে,
তোমার জীবন দিয়ে।

চাকরি হয়নি কষ্ট পেলে,
বলতে আমায় পারতে।
আমায় সুখি করতে গেলে,
তোমার জীবন দিয়ে।

এমন সুখ পেলাম আমি,
তোমার লাশ দেখে।
কোটা সংস্কার না হলে,
জীবন দিবো রাস্তায় পড়ে।

কোটা সংস্কার করো,
না হয় মৃত্যু দন্ড দাও।
আমার বাবা লাশ হয়েছে ,
রেজাল্ট খবর শুনে।

চাকরি চাই – চাকরি চাই
মেধার পরীক্ষায়।
পড়ার টেবিলে জীবন গেলো,
জীবন গল্প লাশ হলো।

আমার মা চা বিক্রেতা ,
আমি হলাম শিক্ষিত সন্তান।
রাতে অন্ধকারে আমি অপরাধী !
মায়ের কষ্টে কাঁদি,
বেকার সন্তান আমি।

মা বলে হবে চাকরি,
চিন্তা করো কেন।
কেমন করে বলবো তোমায়,
চাকরি আমার হবে না মা।
কোটার মাঝে হারিয়ে যাবে,
আমার মেধা তালিকা।

লেখক: বিতার্কিক-শিক্ষার্থী,সাংবাদিকতা বিভাগ,পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,খুলশী, চট্টগ্রাম।