আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিজের শহরে ফিরেছেন মালালা। সেখানেই প্রায় ছয় বছর আগে তালেবানের হামলায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন মালালা। সেখান থেকেই নিজের দেশে ফিরেছেন তিনি। ২০১২ সালে নারী শিক্ষার জন্য একটি ক্যাম্পেইন প্রচারের সময় তালেবানের গুলিতে আহত হন মালালা। তার মাথায় গুলি লাগে। খবর রয়টার্স।

মালালার নিজের শহর সাওয়াত এক সময় জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়। ১৫ বছর বয়সে মালালা স্কুলবাসে করে যাওয়ার সময় তালেবানের হামলার শিকার হয়। তার ওপর হামলার ঘটনা বিশ্বজুড়ে তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে পাকিস্তানের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি তার পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

সুস্থ হওয়ার পর মালালা নতুন করে আবারও বিশ্বজুড়ে শিশু শিক্ষা এবং শিশু অধিকারের প্রতি সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তিনি তার বাবার সহায়তায় মালালা ফান্ড গড়ে তোলেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলা যেখানে সব নারী শিক্ষা অর্জন করতে পারবে এবং তারা কোনো ভয় বা আতঙ্ক ছাড়াই নেতৃত্ব দিতে পারবে।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মালালা বলেন, এই দেশে আবারও ফিরতে পেরে আমি দারুণ খুশি। আমি কথা বলার মতো কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। এটা সত্যিই খুব আবেগঘন মুহূর্ত। আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না।

শনিবার একটি হেলিকপ্টারে করে মালালা ইউসুফজাই এবং তার পরিবার মিনগোরা শহরে ফিরেছেন। সে সময় তারা কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ছিলেন। ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা। তিনি এবং ভারতীয় কর্মী কৈলাস সাতিয়ারথি যৌথভাবে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করায় নোবেল পুরস্কার পান।

রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মালালা বলেন, আমি আমার ধর্ম নিয়ে গর্বিত। আমি আমার দেশ নিয়ে গর্বিত। আমি এর আগে কখনও কোনো কিছু নিয়ে এত আগ্রহী ছিলাম না। আমি এতটা খুশি আগে কখনও ছিলাম না। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের কথা খুব মনে করেছি।