এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও:
প্রচন্ড গরমে ডাবের পানি কে না খেতে চায়। আর সেই মিষ্টিপানীয় কচিডাবের কদর সবখানে তুঙ্গে বললেই চলে। তবে জেলা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে ডাবের দ্বিগুন দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। তথ্য মতে, ককসবাজার সদর উপজেলার বৃহৎ এলাকা তথা ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী, ভারুয়াখালী ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের নারকেল গাছ থেকে পাড়ালি বেশ কিছু যুবক ডাব পেড়ে স্বল্প মুল্যে কিনে নেয় মালিকের কাছ থেকে। তারা আবার সে ডাবগুলো মোটামুটি দামে বিক্রি করে প্রকৃত ডাব ব্যবসায়ীদের কাছে। কিন্তু চড়া দামে তৃতীয় দফায় এ ডাবগুলো বিক্রয় করতে নিয়ে যায় চট্রগ্রাম,লোহাগাড়া,কেরানীহাট,পদুয়া,লামাসহ তারও দূরবর্তী নানা স্থানে। অপরদিকে গ্রামগন্জের কিছু কিছু ডাব গাছের মালিকরা মৌসুম আসার কয়েক মাস পূর্বে থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাদন হিসেবে টাকা নিয়ে গাছ ক্ষনিকের জন্য বিক্রি করে দেয়। আবার মালিকরা কিছু বুঝে উঠার আগে ভাগেই ব্যবসায়ীরা লোভের মুহে ফেলে দেয়। তাতে তারা নিরবে মুখ বুঝে সহ্য করে থাকে। ২৪ মার্চ বিকেলে ঈদগাঁও মাদ্রাসার সড়কে খুচরা এক ডাব ব্যবসায়ীর সাথে আজকের ককসবাজারের এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি হাস্যেজ্জল কন্ঠে জানান – ডাব গাছ থেকে ডাব কর্তনকারী (আমরা) বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে প্রথম দফে ডাব কিনে ব্যবসায়ীদের কাছে দাম দিয়ে বিক্রি করি। পাড়া থেকে একটি ডাব ১৪/১৫ টাকা দরে কিনে প্রকৃত ডাব ব্যবসায়ীদেরকে দ্বিতীয় দফে ১৮/২০ টাকা হিসেবে বিক্রি করি। তারপর তারা এখানকার গ্রামাঞ্চলের মিষ্টিপানিয় ডাবগুলো দ্বিগুন দামে দূরর্বতী স্থানে বিকিকিনি করতে নিয়ে যায়। অন্যদিকে কয়েক ডাব ব্যবসায়ীদের মতে, এ বিশাল এলাকার পাড়া মহল্লার ডাবগুলো প্রচন্ড গরমে ভরা মৌসুমে দাম ধরে বিক্রি করে সংসার চালায় বলে জানান। এদিকে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন এলাকার এক কুলিং কর্ণারের কর্মচারীর সাথে কথা হলে তিনি একটি ডাব ৪০টাকায় বিক্রয় করছে বলে জানান। একদিকে গরমে কচিডাবের কদর বৃদ্বি পেলেও, অন্যদিকে দ্বিগুন দামে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতাগন। অনেকে খেতে চাইলেও দামের কারনে খেতে পারছেনা।