এ এম ওমর আলী ,চকরিয়া  :

চকরিয়া লামা-আলীকদম সড়কে একটি সরকারি বাহিনীর লোকজনের হাতে পরিবহন শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ওই সড়কে আতংক বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীবাহি গাড়ি থামিয়ে হয়রানী ও তুচ্ছ ঘটনায় শ্রমিক নির্যাতনে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক ও মালিকরা। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার বিচার না হলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:নং বি ৭২৬) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক কামাল আজাদ জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত ১৫ মার্চ সকাল ১০টার দিকে আরকান সড়ক মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের ফোন করে আলীকদম সেনা ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে পৌছলে কোন কারণ না জানিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন কতিপয় লোক। দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুপারভাইজার আবুল কাসেম (৫২)কে হাত-পা ও চোখ বেধে প্রকাশ্যে নির্মম প্রহার করে সেখানকার কতিপয় লোকজন। প্রহারের পর উপস্থিত মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে জোর করে খালি কাগুজে স্বাক্ষর নেয়ার পরে শ্রমিক আবুল কাসেমকে মুমুর্ষ অবস্থায় তাদের হাতে তুলে দেন ওই নিপীড়নকারিরা। নেতৃবৃন্দরা আরও জানান, ক্যাম্পের ওই লোকজনের নির্মম প্রহারে মুমূর্ষ হয়ে পড়া আবুল কাসেমকে প্রথমে আলী কদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক মনে করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানেও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ওই শ্রমিক।

তারা আরও বলেন, আহত শ্রমিকের চিকিৎসা, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের পটিয়ায় আগমনকে ঘিরে মালিক-শ্রমিকরা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। কিন্তু এরই মধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির কোনো সুরাহা না করলে যেকোন মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওই সড়কের যানচলাচল। নেতৃবৃন্দরা পরিবহন সেক্টরে বিশৃংখলা সৃষ্টি যাতে না হয় তার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।