আব্দুর রশিদ, বাইশারী:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দুর্গম পাহাড়ী জনপদ সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোমখোলা গ্রামের বাসিন্দা অংক্যহ্লা মার্মা পেপে চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে।

স্থানীয় এক লোকের কাছ থেকে এক একর বিশ শতক জমি বন্ধক নিয়ে পেপে চাষ শুরু করেন। গত তিন মাস আগে উক্ত জমিতে পেপের চারা লাগানো হয়।

স্থানীয় এক বীজ বান্ডার থেকে ভাল জাতের বীজ সংগ্রহ করে প্রথমে নার্সারী করেন এবং পরে বীজ লাগান। বাগান মালিক উক্যহ্লা মার্মা বলেন, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লোন এবং নিজের পরিশ্রম করে উপার্জন করা মোট আড়াই লাখ টাকা তার এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে। তিন বছরের জন্য জমিটি বন্ধক নিয়েছেন। বর্তমানে তার পেপে বাগানে প্রতিটি গাছে ফুল আর ফলে ভরপুর।

তিনি আরো জানান, সর্ব প্রথম উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার সুলক বড়ুয়া থেকে পরামর্শ নিয়ে বাগানে চারা রোপন শুরু করেন। এর পর থেকে নিজেই পরচর্যা করেছেন।

এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে বাগান মালিক উক্যহ্লা মার্মার সাথে কথা বলে জানা যায়, এক একর বিশ শতক জমিতে বারশত পেপে গাছ লাগিয়েছেন। সবগুলো গাছে ফুল আর ফল ভরপুর। আগামী এক মাসের ভিতর সৃষ্টি কর্তা সহায় থাকলে বাজার জাত সম্ভব হবে। উক্যহ্লা মার্মা পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মটর বাইক চালক। গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিনের আয় বাগানের পিছনে খরচ করেছেন।

তিনি আরো জানান, আবহাওয়া ও পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে ১০লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। তাছাড়া সরকারী ভাবে কিছু সহয়তা পেলে আরো উন্নত ভাবে বাগান করা সম্ভব হত বলে ও জানান।