নুরুল কবির, বান্দরবান:
বাংলাদেশে-মিয়ানমারের মধ্যেকার সীমান্তের ওপারে সৈন্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি প্রশমনে রোববার সকালে দুইদেশের সীমান্তরর্ক্ষীদের যৌথ টহলদান অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এই যৌথ টহলদান চলাকালে উভয়দেশের সীমান্তরর্ক্ষীদের মাঝে সোহার্দ্যপুণ ভাব বিরাজ করে বলে সীমান্তবাসীরা জানিয়েছেন। তুমরু সীমান্তে জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী রোহিঙ্গা আবদুল আলিম ও রহিম উল্লাহ জানান, সকালে তারকাঁটা বেড়া ঘেঁষে উভয় দেশের বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। এতে আমাদের মধ্যে স্বস্থি এসেছে। ক’দিন আগেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে এই সীমান্তে।
বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকার পাশে জিরো লাইনে মিয়ানমানের সীমান্তরর্ক্ষী বিজিপি এবং বাংলাদেশের সীমান্তরর্ক্ষী বিজিবি স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মুলত যৌথ টহলদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ককসবাজার ৩৪ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.কর্ণেল মন্জুরুল আহসান খান। তিনি আরো বলেন সীমান্তে যৌথ টহল কী করে আরো বাড়ানো যায় সেজন্য মিয়ানমারকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সীমান্তে যৌথ টহল অব্যাহত থাকলে উত্তেজনা এমনিতেই কমে আসবে। সেই সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে সম্পকের উন্নয়নও হবে
নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক, যৌথ টহলদানের ফলে সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রশমন হবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, গতবছরের ২৪আগষ্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় প্রায় ৭লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গা মধ্যে নাইক্ষংছড়ির তমুব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ার জিরো পয়েন্টে আটকা পড়েন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গা। পরবর্তীতে মিয়ানমারের সৈন্যরা সীমন্ত পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর নানামুখি হয়রানী সৃষ্টি করে। এপারে বিজিবি সদস্যরা তাদের টহলদানও বৃদ্ধি করে দেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।