ক্যান্সার শরীরের কোথায় কখন বাসা বাঁধে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তারপরেও খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং জীবনযাপনে সতর্কতা অবলম্বন করে এই দুরারোগ্য ব্যাধি ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। বিশেষ করে মুখের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার হলে ঠোঁট, মুখের তালু, জিহ্বা, মাড়ির হাড়, গলবিল, লালা গ্রন্থি, চোয়াল এবং মুখের ত্বক মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তাই পাঠকদের সামনে মুখের ক্যান্সার ঠেকানোর পরামর্শগুলো উপস্থাপন করা হল:

১) তামাক চিবানো পরিহার করা: কাঁচা তামাক পাতা চিবালে মুখের ক্যান্সার হয়। তথা মুখের ক্যান্সার সৃষ্টির একটি বড় কারণই হল এই তামাক পাতা। তাই এটি পরিহার করতে হবে।

২) ধুমপান ত্যাগ করা: যে কোন ধরণের ধুমপানই মুখের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল- সিগারেট, বিড়ি, পাইপসহ যে কোন ধরণের হুকা। এগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

৩) সুপারি ও পান মশলা পরিহার করা: মুখের ক্যান্সার রোধে এ দুটোই এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ সুপারি মুখের ক্যান্সারের জন্য একটি ক্ষতিকর ফ্যাক্টর আর পান মশলার প্রধান উপাদানই হল এ সুপারি।

৪) অ্যালকোহল পরিহার করা: এটিও মুখের ক্যান্সার সৃষ্টির একটি প্রতিষ্ঠিত ঝুঁকি। তামাকের সাথে খেলে এটি মুখে ক্ষত সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে রুপ নেয়। তাই এটি পরিহার আবশ্যক।

৫) মুখের হাইজিন ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন: প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করুন। তাহলে মুখের হাইজিন ভাল থাকবে। আর ব্রাশ না করলে মুখের হাইজিন খারাপ হয়ে তা ক্যান্সারে রুপ নিতে পারে।

৬) নিয়মিত নিজেই মুখের পরীক্ষা করবেন: প্রতি এক মাস অন্তর উজ্জ্বল আলোতে মুখের জিহবা পরীক্ষা করবেন। আলসার, রক্ত পড়াসহ দাঁতের অন্য সমস্যা থাকলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারিয়ে নিতে হবে।

৭) নিয়মিতভাবেই দাত পরীক্ষা করবেন: ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিতই দন্ত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৮) সূর্যের বর্ধিত এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন: আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ক্যান্সারের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই সূর্যের বর্ধিত এক্সপোজার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি কম এক্সপোজারে বের হচ্ছেন।

৯) মুখের কোন ধরনের ঘা/রক্ত পড়া/ব্যথা অবহেলা করবেন না: আপনার মুখে ঘা, রক্ত পড়া এবং ব্যথা থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান। ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এর চিকিৎসা করান নতুবা এটি ক্যান্সারে রুপ নিতে পারে।

১০) সঠিকভাবে খাদ্যাভাস করুন এবং ভাল থাকুন: একটি ভাল খাদ্যাভাসে শাকসবজি, ফলমুল, বাদাম অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই এগুলো খাবারের পাশাপাশি নিয়িমিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

তাই সময় থাকতেই সতর্ক হোন, নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য উপভোগ করুন।