সিবিএন ডেস্ক : প্রথমটায় শুনে আজগুবি বলেই মনে হবে। মানুষে আবার ডিম পাড়ে নাকি। একেবারে ঘোড়ার ডিমের মতই আজগুবি। কিন্তু এটাই নাকি সত্যি। সত্যি মানে পরীক্ষিত সত্যি। ইন্দোনেশিয়ার গোয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোর নাকি গত ২ বছর ধরে প্রতিদিন একটি করে মুরগির ডিম পেড়ে চলেছে। বহু ডাক্তার বদ্দি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই সুরাহা হয়নি। হয়রান ১৪ বছরের কিশোর আকমলের পরিবার। শেষে ইন্দোনেশিয়ার একটি বড় হাসপাতালে আকমলকে নিয়ে যান তাঁর বাবা রুশিল। চিকিৎসকরা শুনে কিছুতেই মেনে নিতে রাজি হননি। শেষে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় আকমলকে। সেখানেই জনা পাঁচেক চিকিৎসকের সামনে ডিম পেড়ে দেখায় আকমল। তাই দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদেরও। তাঁরা জানিয়েছেন ডিমগুলি অবিকল মুরগির ডিমের মতোই।
এমনকী পরীক্ষাগারে সেগুলি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাতে মুরগির ডিমের থেকে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা। অথচ আকমলের বাবার দাবি, ছোটবেলা থেকে কোনও দিন আস্ত মুরগির ডিম গিলে খায়নি সে। আকমলের পেটের এক্সরে করে দেখা গিয়েছে বৃহদন্ত্রের কাছে এসে জমা হচ্ছে ডিমটি। কীভাবে সম্ভব এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
এদিকে গ্রামে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আকমলের বাবা রুসালি জানিয়েছেন, ছেলের এই ডিম পাড়ার জেরে তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। গ্রামের অনেকের দাবি, তাঁর ছেলে আকমলের উপর কোনও হুর পরী ভর করেছে। সেই কালোজাদুর কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। তবে সে যাই হোক ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালে এখন আকমলকে দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই। মিডিয়াকে সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ‌‌