মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের সাড়ে তিন বছরের শিশু নাজিম উদ্দিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিগত দেড় মাস ধরে যন্ত্রনায় ভুগছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নেন পিতা মোঃ হোসেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার শিশু নাজিমের লিভারে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ার কথা জানান।
এ প্রতিবেদক গর্জনিয়া বাজারের সহকারী ডাক্তার শফিক আহম্মদের চেম্বারে গেলে উক্ত শিশুর মা হালিমা বেগমের কোলে সাড়ে তিন বছরের এ শিশু দেখে জিজ্ঞাসা করলে উঠে আসে এ বিষয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় পিতা-মাতা ও এলাকাবাসীর মতে গরীব, অসহায় পরিবারে ছোট শিশুটি যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেয়ে বাঁচতে চায়।
শিশুটির বয়স এখন খেলাধুলা করে কাটানোর সময়। কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সে পেটের ভিতর লিভারে ব্লাড ক্যান্সারের মতো রোগ হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পথে এ শিশুটি। দরিদ্র পিতার ঘরে জন্ম নেওয়া নাজিম ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। বড় ভাই কৃষিকাজ করে আর বাবা দিন মজুরী করে টানাটানির মধ্যে চলছে সংসার। এর মাঝে ছোট ছেলের জন্য হওলাদ ও বাড়ীর মালামাল বিক্রি করে চিকিৎসা খরচ করেন এত দিন। এখন আর পারছেনা শিশুর চিকিৎসা খরচ জোগাতে।

টাকা না থাকায় এখন চিকিৎসা করতে পারছে না। বাবা মোঃ হোসেন জানান প্রথমে কক্সবাজার পরে চট্টগ্রামসহ সরকারী বেসরকারী কয়েকটি হাসপাতালে এত দিন চিকিৎসা করেছেন ধার দেনা করে লাখ টাকার মতো খরচ করেও কোন ফল পান নাই। ডাক্তার বলেছেন ভাল চিকিৎসা দিতে হলে বিদেশে অথবা ভারত নিতে হবে।
তবে কঠিন এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ৪০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু কোথায় পাবে? কে করবে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার ব্যবস্থা? গর্জনিয়া বাজারের চিকিৎসক শফিক আহম্মদ ও ছেলের চাচা মোঃ তৈয়ব জানান শিশু নাজিমকে বাঁচাতে অনেক টাকার প্রয়োজন।
তাই বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করে তার চিকিৎসার জন্য গর্জনিয়া বাজার ব্যাংক এশিয়া শাখায় দেশবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা পেতে একটি হিসাব নং খোলা হয়েছে যার নং-১০৮৩৪২২০০২৭০৬ এবং যোগাযোগ নং ০১৮২৩৯৭৫০৩৮। শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে এলাকার বিত্তশালী, বিভিন্ন এনজিও, মানবাধিকার সংস্থার প্রতি আকুল আহ্বান জানান শিশুটির পরিবার। গত কাল খবর পেয়ে রোগে আক্রন্ত উক্ত শিশুর হিসাব নম্বারে এক ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রথম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জাউচ পাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন নামের এ শিশুটি তার কি হয়েছে সে জানেনা কিন্তু তার খুব কষ্ট হয় প্রচন্ড ব্যাথা করে পেটে। মা হালিমা বেগম জানান, আমার ছেলেকে দেখলে এবং রাতে খব কষ্ট হয়। দেশের সবাই মিলে যদি আমার ছেলেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন আমি সবার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করবো।