আর এ কারণেই নামাজকে আল্লাহর সঙ্গে সেতুবন্ধনের অন্যতম মাধ্যম বলা হয়ে থাকে। যখনই আল্লাহর সঙ্গে বান্দার বন্ধন তৈরি হয় তখনই মানুষ পরিপূর্ণ মুমিনের খ্যাতি লাভ করে।
>> নামাজে একনিষ্ঠ থাকা
নামাজে দাঁড়ানোর সময় পরিপূর্ণ ইহসান অবলম্বন করা। মনে এ বিশ্বাস অর্জন করা জরুরি যে, আল্লাহ তাআলা সম্মুখে উপস্থিত। আর তাঁকে না দেখলেও তিনি নামাজি ব্যক্তিকে দেখছেন। তাঁর ইবাদতের সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছেন।
>> নামাজের আমলগুলো বুঝে করা
নামাজের বাহিরে এবং ভেতরে যত করণীয় রয়েছে তার সবগুলো বুঝে বুঝে আদায় করা। সুরা, কেরাত, তাসবিহ, তাকবির, তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া-কালাম সব কিছু অর্থ বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করা।
>> নামাজে ধীরস্থির হওয়া
নামাজ আদায়ের আগে নিজের মনকে পরিশুদ্ধ করে দুনিয়ার সব কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তৈরি করা। আরকান ও আহকামের বাইরে নামাজে আর কোনো আমল না করা। ধীরস্থিরভাবে নামাজের রুকু, তাসহিব, তাকবির, তাশাহহুদসহ ওঠা-বসায় তাড়াহুড়ো না করা।
উল্লেখিত নিয়মে নামাজ আদায়ই হলো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজ পড় সেভাবে; যেভাবে আমাকে পড়তে দেখছ।’
হাদিসে বর্ণিত নিয়মে প্রিয়নবির শেখানো পদ্ধতি নামাজ পড়লেই মানুষ দুনিয়ার অশ্লীল ও বেহুদা কথা ও কাজ থেকে মুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখে।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।