শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা এলাকা জুড়ে গুণজন শুরু হলে ছাত্রীর পরিবারকে হুমখি প্রদর্শন করেছে ওই লম্পট যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ২টায়।
সূত্রে জানা যায়,ইউনিয়নের উত্তর বাইশারী এলাকার ছৈয়দ হোসেন (৩৫) গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টার তার স্ত্রী বেড়াতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্রীকে দশ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে এনে শিশুটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা চালালে শিশুটি সৌচিৎকারে পাশের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারী পলিয়ে গেলে এলাকার লোকজন শিশুটি শোয়া অবস্তায় উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুটি দুপুর ২টার দিকে ওই লম্পট ছৈয়দ হোসেনের স্ত্রী ঘরে না থাকার সুজোগে বসত ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশু মেয়েটি চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনে আমরা এগিয়ে আসলে লম্পট ছৈয়দ হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে জানতে পারি দশ টাকার নোট দেখিয়ে তাকে শোতে বলে। তবে ৮ বছরের শিশু মেয়ে কোন কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। শুধু কাঁদতে থাকে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শিশুটির পরিবারকে নানা ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখায়।
আর এদিকে শিশুটির পরিবার একেবারে অসহায় গরীব বলে কারো কাছে ঘটনা বুঝাতে গেলে কেহ কর্ণপাতও নেয় না।
ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী সত্যতা শিকার করে তিনি বলেন, ৮ বছরের শিশুকে অপর্কমের চেষ্টা কথা শুনে আমি হতবাক হয়েছি। তবে আমি ওই যুবকের স্ত্রীসহ বাবা মাকে পরিষদে আসার জন্য খবর দিয়েছি। ওই লম্পট ছৈয়দ হোসেনকে এলাকায় দেখা যাচ্ছেনা বলে তিনি জানান।
লম্পট ছৈয়দ হোসেনের স্ত্রী শামশুন নাহার জানান, আমি বাপের বাড়ীতে কাজে যাওয়ার সুজোগে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে সংসারের দিকে থাকিয়ে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা চালাছে বলে জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।