মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:

শুক্রবার (২ মার্চ ২০১৮ ) সকাল থেকে শুরু করে দিনব্যাপি দা’ওয়াতে খায়র ইজতিমায় মুয়াল্লিমগণ বলেন, ইসলামি জীবন ব্যবস্থার আবশ্যকীয় ও জরুরি বিষয় হল ঈমান ও আমল। আল্লাহর একত্ত্ববাদ ও রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খতমে নবুয়াত ও রিসালতের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাসের পর মুসলমানদের অবশ্যই নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি মুসলমানদের জীবন-মৃত্যু থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি বিধানকে প্রতিপালন করতে হবে। যে মুসলমান ইসলামি বিধানকে সঠিকভাবে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করবে, সে অবশ্যই পরিপূর্ণ মোমেন মুসলমান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আরেকজন মোমিন মুসলমানই পারে মানবতার কল্যাণ করা। সৎপথে মানুষকে আহবান করা আর অসৎ পথ থেকে বিরত রাখা।

আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের সহযোগীতায় ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা গাউছিয়া কমিটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ফতেয়াবাদ দা’ওয়াতে খায়র ইজতিমা উদযাপন কমিটি আয়োজিত ইজতিমায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে ভোর সকাল থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ ফতেয়াবাদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে মুসল্লিদের সমাগম ঘটে।

লাখো মুসল্লি আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমীর ইমামতিত্ত্বে জুমা’র নামাজ আদায় করেন। আঞ্জুমান রিসার্চ সেন্টারের মহা-পরিচালক ও দাওয়াতে খায়র এর জিম্মাদার আল্লামা এম.এ. মান্নান ও দাওয়াত-এ খায়র এর প্রধান মুয়াল্লিম পুরো ইজতিমার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ইসলামি দাওয়াত ও শরীয়তের আহকামের উপর বিষয়ভিত্তিক বয়ান করেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, অধ্যক্ষ হাফেজ সোলাইমান আনসারী, অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী, ক্বারী সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, আল্লামা মুহাম্মদ মুফতি আব্দুল ওয়াজেদ, আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রেজভী, ড. মাওলানা আ.ত.ম. লিয়াকত আলী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম ফজলুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম রিজভী, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল নোমানী, উপাধক্ষ মাওলানা জুলফিকার আলী, মাওলানা ফেরদৌস আলম আলকাদেরী, মাওলানা শাহেদুল ইসলাম আলকাদেরী, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভী, মাওলানা সাদ্দাম হোসাইন, মাওলানা নুরুন্নবী আলকাদেরী ও মাওলানা ইমরান হোসাইন প্রমূখ।

যিকরে ইলাহী, তালিমি কোরআন মাজীদ, তরজুমা ও তাফসীর, তালিমী হাদিস শরীফ অনুবাদ ও ব্যাখ্যা, মাসআলা-মাসায়েল, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ বিষয়-ভিত্তিক দিনব্যাপী বয়ান শেষে বা’দে এশা মিলাদ-ক্বিয়াম করা হয় এর পর দেশ, জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের কল্যাণ কামনা করে অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী আখেরী মুনাজাত করেন।