নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়া কোটবাজার ও রুমখাঁ বাজার পাড়া এলাকার প্রায় ২শত বছরের প্রাচীন মাহাশ্মশানেে উপর দিয়ে রাস্তার নির্মানের অভিযোগ উটেছে।
বিষয়টি নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
রাস্তা নির্মান বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে এলাকাবাসি ৩১ জানুয়ারী আবেদন দিয়েছে।
রত্নাপালং হিন্দুপাড়া মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি বিভুতি ভুষণ  জানান, প্রায় ২শত বছরের প্রাচীন মহাশ্মশানের উপর দিয়ে স্থানীয় একটি ড়ায়াবেটিক হাসপাতাল প্রকপ্লের নামে রাস্তাটি করা হচ্ছে। অথচ মহাশ্মশানের জায়গা ব্যবহার না করার ও সুযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সজল কান্তি ধর জানান, কোটবাজার হতে ৪ শত মিটার উত্তর পশ্চিম দিকে আমাদের পবিত্র মহাশ্মশানের উপর দিয়ে  রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। এতে শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট হবে। পাশাপাশি জায়গাও কমে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট রবিন্দ্র দাশ রবি জানান, সম্প্রতি উখিয়া উপজেলার আওতাধীন রুমখাঁ ও রত্না পালং ইউনিয়নের হিন্দুদের শবদাহ করার একমাত্র শ্মশানের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছিলো একটি মহল। এই বিষয় নিয়ে উখিযার হিন্দু সমাজের মাঝে চরম অসন্তোষ ক্ষোভে ফুসে উঠছিল পুরো হিন্দু সমাজ।
তিনি জানান, প্রায় দুইশো বছরের পুরনো এইমহা শ্মশানের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার জন্যে শশ্বান কমিটি উখিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সহায়তায় জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা কটলে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশের পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেরাম ছিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই বিষয়ে জানতে হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে  ফোন করলে তিনি একটা মিটিং এ  ব্যস্ত  আছেন বলে জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাশ্মশানের মধ্যদিয়ে রাস্তা নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী রবিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে সরেজমিনে পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আপাতত রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।