ছালাম কাকলি :

মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা ১৪১৪ একর জমির মালিকদের পুনরায়  টাকা দেয়ায় জমির মালিকদের মাঝে চলছে আনন্দ উৎসব। প্রকল্পের নিজস্ব ভবনে এ টাকার চেক হস্তান্তর উদ্ভোধন করেছেন (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) কক্সবাজার-২ সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।

মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, মাতারবাড়ীতে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য প্রথমে মাতারবাড়ীর দক্ষিণাংশ থেকে ১৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এতে মালিকদের টাকা দেয়া হয় প্রতি একরে শ্রেণী ভেদে ৪ লাখ, ৮ লাখ ও ১১ লাখ টাকা করে। তা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ঐ জমির মালিকদের সাথে বৈশম্য নীতি করার অভিযোগ এনে গত ১৬ সালে জুলাই মাসে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ডা: কবির আহমদ, বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার রুহুল আমিনসহ সকলকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে তিনি মগডেইল বাজারস্থ চেয়ারম্যানের নিজস্ব অফিসে একটি মত বিনিময় সভা করেন। ঐ মত বিনিময় সভায় চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মাতারবাড়ীর দক্ষিণাংশ থেকে যে ১৪১৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে ঐ জমির মালিকরা তাদের জমিনের ন্যায্য মূল্য পাইনি এবং কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জমির মালিকদের সাথে বৈশম্য নীতি আচরণ করেছে। তিনি আরো দাবী করে জানান মাতারবাড়ী উত্তরাংশ থেকে অধিগ্রহণ করা ১২০০ একর জমি সমপরিমান মূল্য দেয়ার দাবী জানান। উপস্থিত সকলে ঐ মতামতের উপর সায় দিয়ে বিভিন্ন দাবী দাওয়া সংক্রান্ত একটি স্মারক লিপি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীঅ শেখ হাছিনা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সাংসদ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)-২ ও মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পৃথক পৃথক অফিসে স্মারক লিপি প্রেরণ করেন। এ ছাড়া চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বার বার জমির মূল্য পুনরায় নির্ধারণ এবং উদ্ধৃত্ত টাকা মালিকদের কাছে প্রদান করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক বসেন। সর্বশেষ বার বার আবেদন নিবেদন ও বৈঠকের কারণে ১৪১৪ একর জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি একর ২৭ লাখ ও ৩০ লাখ টাকা করে। এ সব জমিনের উদ্ধৃত টাকার চেক সম্প্রতি প্রকল্পের নিজস্ব ভবনে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক উদ্ভোধন করে গেছেন। এতে ১৪১৪ একর জমিনের মালিকদের কাছে সস্থি ফিরে এসেছে। সকলের মুখে এখন শুনা যাচ্ছে সাবাস! মাতারবাড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান।