শাহেদ মিজান, সিবিএন:
‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম পর্বের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় চার লাখ ৫৮ হাজার ২৩ শিশুকে ভিটমিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহম্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে এক অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দীন আলমগীরের সভাপতিত্বে এই অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবহিতকরণ সভা পরিচালনা করেন  জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনএইচসিআর এর ডিএনএসও নরেশ চন্দ্র দাশ।

অবহিতকরণ সভায় দেয়া তথ্য মতে, জেলার আট উপজেলায় ১৯৫১ টি টিকাদান কেন্দ্রে চার লাখ ৫৮ হাজার ২৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্থায়ী নয়টি, অস্থায়ী ১,৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি এবং অতিরিক্ত ৭৫টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানো হবে। দায়িত্বে থাকবেন ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ২১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক কাজ করবেন।

২৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় এই ক্যাম্পেইন শুরু হবে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। জেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও কিছু সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘নীল’ রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘লাল’ রঙের ক্যাপসুল। সব ধরণের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে না খাওয়াটাই ভালো। একই সাথে চার মাসের মধ্যে যে শিশু ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে তাকে আর খাওয়াতে হবে না।

স্বাস্থ্য বুলেটিন মতে, ভিটামিন ‘এ’ প্রধানত শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুও ঝুঁকি কমায়।