এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাসী গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ঠিকাদারী ব্যবসা করেন। কক্সবাজার জেলা শহরে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারি কাজে যাওয়া আসার পথে তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে সদর উপজেলার ঈদগাঁও ফরায়েজী পাড়া¯’ বাহারছড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুলের ছেলে আবদুল্লাহ নামের এক যুবকের।
পরিচয়ে সুবাধে একদিন মিনহাজ তাঁর মালিকানাধীন (কক্সবাজার-হ-১১-১৪২১) নাম্বারের ব্লু কালারের মোটর সাইকেলটি বিক্রি করার জন্য আবদুল্লাহকে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে আবদুল্লাহ মোটর সাইকেলটি কিনবে বলে মিনহাজ উদ্দীনকে জানায়। কথামতো গত ২৫ নভেম্বর রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে মিনহাজ যান কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটাস্থ’ কোরাললীপ প্লাজার সামনে। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহ ও তার সহযোগি মহি উদ্দীন।
মিনহাজ উদ্দিন জানান, মোটর সাইকেলটি দেখে দুই পক্ষের মধ্যে দরদাম ঠিক করা হয়। ওইসময় গাড়িটি ঠিকটাক আছে কিনা তা চালিয়ে দেখার জন্য বায়না ধরে আবদুল্লাহ। পরে মিনহাজ চাবি দিলে গাড়িটি চালিয়ে দেখতে যান আবদুল্লাহ ও তার সহযোগি মহিউদ্দিন। এরপর তাঁরা আর ফিরে আসেনা।
মোটর সাইকেল মালিক মিনহাজ জানান, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়ি নিয়ে ফিরে না আসার কারনে তাঁর সন্দেহ হয়। এরপর আব্দুল্লাহর মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এতে এক প্রকার হতাশ হয়ে ঘটনার রাতেই মিনহাজ উদ্দীন অভিযুক্ত দুইজনের বাড়ীতে গিয়ে তাদেরকে পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
কিন্তু ছিনতাই ঘটনার পর ১১দিন অতিবাহিত হলেও মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করতে না পেরে অবশেষে গত ৪ ডিসেম্বর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মোটর সাইকেল মালিক মিনহাজ উদ্দিন।
কক্সবাজার সদর আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে এব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।