ডেস্ক নিউজ :

মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে প্রতিদিন ১০০ জন করে ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার। সে দেশের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে গতকাল রবিবার আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আইয়ি আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, যাদের পরিচয় মিয়ানমার সরকারের নথিতে থাকবে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

খবরে বলা হয়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলতি মাসের শেষ দিকে বৈঠকে বসবে। প্রতিদিন ১০০ জন ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে উইন মিয়াত আইয়ি বলেন, ‘যারা সঠিক, তাদের শনাক্ত করতে হবে। এরপর নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে তাদের। যদি তাদের বাড়ি সেখানে না থাকে তাহলে আপাতত তাদের জন্য নির্মিত অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হবে।’
২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম। মাঝে কয়েকদিন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল কিছুটা কমে এলেও চলতি সপ্তাহে তা আবার বেড়েছে। জাতিসংঘের মতে, ১৯৭০ সালের পর এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে সর্বাধিক মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা এটি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের প্রামাণ্য উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। সামরিক অভিযানে সেনা সদস্যদের দ্বারা ধর্ষণ, নবজাতক ও শিশুসহ হত্যা, নির্মম ও গুমের ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি; কিন্তু মিয়ানমার সরকার এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।