হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া : 
কুতুবদিয়ায়  সোমবার পুরাতণ বাতিঘর পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ২টি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক, রাম দা ও কিরিচসহ ২জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ধৃতরা হলেন দক্ষিণ ধুরুং গ্রামের আবুল কালামের পুত্র আলী আকবর (২৫) ও আবু মুছার পুত্র পারভেজ (১৪)। ৭/৮ জনের জলদস্যুরদল পাশের উপজেলা বাঁশখালীর মতিলাল বহদ্দারের একটি মাছ ধরার বোটের ৭জন মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রেরমূখে জিম্মি করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবীতে দরকষাকষিকালে গোপণ সংবাদের ভিতিতে থানার এ.এস.আই.আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও আলিম উল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২জনকে ধরতে সক্ষম হলেও একই এলাকার মিজান, জসিম, কামাল, কালু ও লেমশীখালীর জসিম পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

তাৎক্ষণিক থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে আরো একদল পুলিশ গিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অস্ত্র ও মাঝিমাল্লাদেরকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে বোটটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

অস্ত্র আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াসহ পালিয়ে যাওয়া ডাকাত গ্রেপ্তারে সাড়াসি অভিযানের কথা জানিয়েছেন থানা ওসি। বর্তমানে গভীর-অগভীর সমুদ্রে মাছ ধরার পিক আওয়ারকে কেন্দ্র করে লেমশীখালী, দক্ষিণ ধুরুং ও উত্তর ধুরুং গ্রামের বেশ কয়েকটি জলদস্যু গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে মাছ শিকারীরা অভিযোগ করেন। অবশ্য চোর-ডাকাত, অস্ত্র, দাগী আসামী ও ইয়াবা-মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার অভিযানে সাড়াজাগাতে সক্ষম হয়েছেন নবাগত থানা ওসি। এ দিকে এক শ্রেনীর মহল জলদস্যুদের মাঝে বোট ও অস্ত্র-সস্ত্রের যোগান দিয়ে বিনিময়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ-ভাটোয়ারার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

আবার অনেকে নেপথ্যে বোট ভাড়া দিয়ে দায় এড়াতে সু-কৌশলে জিড়ি করে নেয় থানায়। এ অবস্থায় তীর-লোকালয়ে পুলিশ ও সমুদ্রে কোস্টগার্ড-নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানের দাবী অনেকের।