ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকায় পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। এসময় এলাকায় ভীতি ছড়াতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। পরে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার (১৫জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার শেয়ার আলীর ছেলে আব্দু শুক্কর (২৫), তার ভাই রবিউল আলম (২৩) বোন মগনামা মাঝির পাড়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কুলসুমা বেগম (১৩), আবু তাহেরের ছেলে মো.ফারুক (২২) ও তার মা রমিজা খাতুন (৪৩)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উজানটিয়া ঠান্ডারপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো.হাসান ও তার ভাই কাছিম আলীর মধ্যে পৈত্রিক জায়গা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। গত ১৩জুলাই এনিয়ে পেকুয়া থানায় সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে কাছিম আলীর বিপক্ষে রায় দেয় শালিসকাররা। তারা দু’ভাইয়ের শাশুর বাড়ি বাইন্যাঘোনা এলাকায়। ওইদিন থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাছিম আলীর নির্দেশে তার শাশুর বাড়ির লোকজন কাটাফাঁড়ি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি আটকিয়ে হাসানের স্ত্রী ও মাকে শারীরিক লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে হাসানের শ্যালক আব্দু শুক্কর ওই স্থানে যান। এ সময় তাকেও মারধর করে তারা। আব্দু শুক্কর জানায় আমি বাইন্যাঘোনা ষ্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় কাছিম আলীর স্ত্রীর বড় ভাই ফারুক, মোশারফ, জাফর আলমের ছেলে তৌহিদ, নুরুল আলমের ছেলে কামাল হোসেনসহ কয়েকজন ভাড়াটে লোক পূর্বের ঘটনার জের ধরে আমাকে প্রাননাশের জন্য ঘিরে ফেলে। এসময় তারা আমাকে মারধর করে। আমার আর্তচিৎকারে আমার ভাই রবিউল ও বোন কুলসুমা এগিয়ে আসে। এ সময় তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। ভীতি ছড়াতে তারা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।